ভাঙা হবে তপসিয়ার সেই পাঁচিলের বিপজ্জনক অংশ 

বৃহস্পতিবার ওই পাঁচিল ভেঙে একটি দু’বছরের শিশুর মৃত্যুর পরেই টনক নড়ে প্রশাসনের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘটনাস্থলের পাশেই স্থানীয় এক ব্যক্তি একটি বহুতল নির্মাণের কাজ করছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা  

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৯ ০১:০৫
Share:

ভেঙে পড়া সেই পাঁচিল। শুক্রবার, তপসিয়ায়। নিজস্ব চিত্র

তপসিয়ার ধসে পড়া পুরনো দেওয়ালের বিপজ্জনক অংশ ভাঙা হবে বলে শুক্রবার জানালেন পুরকর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ওই পাঁচিল ভেঙে একটি দু’বছরের শিশুর মৃত্যুর পরেই টনক নড়ে প্রশাসনের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘটনাস্থলের পাশেই স্থানীয় এক ব্যক্তি একটি বহুতল নির্মাণের কাজ করছিলেন। সেই প্রকল্পের জন্যই আনা একের পর এক বালির বস্তা এমন ভাবে দেওয়ালের গায়ে ঠেস দিয়ে রাখা ছিল যে, তা দেওয়ালের উচ্চতাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পুরনো দেওয়াল সেই ভার সহ্য করতে না পারায় ঘটে বিপত্তি।

কিন্তু ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পুরনো দেওয়ালের গায়ে এ ভাবে ভারী বালির বস্তা ঠেস দিয়ে রাখা যায় কি? নজরদারির কি কোনও ঘাটতি রয়েছে? পুরসভার বিল্ডিং দফতর এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। স্থানীয় বরো থেকে দাবি করা হয়েছে, দেওয়ালটি পুরনো হলেও বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল না। এই ঘটনার পরে স্থানীয় বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা বলেন, ‘‘পুরসভার সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে। পাঁচিলের বিপজ্জনক অংশ ভেঙে ফেলা হবে। যে ব্যক্তির গাফিলতির ফলে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাঁর বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশকে এ বিষয়ে জানিয়েছি। যত দূর জানি, পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।’’ কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ঘটনার পরেই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে গাফিলতির মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত পলাতক।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল পাঁচিলের ধ্বংসস্তূপের উপরে ছড়িয়ে রয়েছে বালি। সেখানে রয়েছেন পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। যদিও পুলিশের দাবি, ধবংসস্তূপে কেউ আর আটকে নেই। বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনায় মৃত শিশু সাদমান হোসেনের বাবা আব্দুল রহমান এ দিন বলেন, ‘‘পাঁচিলের ধারেই অনেকে বসে গল্প করছিলেন। আমার ছেলে আর মহম্মদ কবীর বলে ন’মাসের একটি শিশুও সেখানে ছিল। হঠাৎ হুড়মুড় করে দেওয়াল ভাঙার পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আমার ছেলে আর অন্য বাচ্চাটি বালির স্তূপে আটকে পড়েছে।’’ তিনি জানান, প্রায় আধ ঘণ্টা পরে দু’জনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাদমানকে মৃত ঘোষণা করা হয়। অন্য শিশুটির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তবে বাকি আহতদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন