আরাম-বিলাসে চুরির মাসুল, গ্রেফতার ১

আরামের ‘কাঁটা’ যে এমন হবে, তা ভাবতেও পারেননি কাশীপুরের সুদীপ ঘোষ! গা, হাত, পা টেপানোর জন্য বন্ধু পাতিয়েছিলেন কাশীপুরের ওই প্রৌঢ়। বাড়ি বয়ে এসে সেই বন্ধু ম্যাসাজ করতেই চোখ জুড়ে যেন ঘুমের জোয়ার। ঘুম যখন ভাঙল, তত ক্ষণে ‘বন্ধু’ উধাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাশীপুর শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:১৬
Share:

আরামের ‘কাঁটা’ যে এমন হবে, তা ভাবতেও পারেননি কাশীপুরের সুদীপ ঘোষ!

Advertisement

গা, হাত, পা টেপানোর জন্য বন্ধু পাতিয়েছিলেন কাশীপুরের ওই প্রৌঢ়। বাড়ি বয়ে এসে সেই বন্ধু ম্যাসাজ করতেই চোখ জুড়ে যেন ঘুমের জোয়ার। ঘুম যখন ভাঙল, তত ক্ষণে ‘বন্ধু’ উধাও। সঙ্গে উধাও আংটি, গয়না, মোবাইল ফোনও!

বন্ধু সেজে বিপদ এসেছিল বুঝে সুদীপবাবু দৌড়ন কাশীপুর থানায়। পুলিশ জানায়, সুদীপবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রীকান্ত দে ওরফে রাজু নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্ধমানের বাসিন্দা রাজুর কাছ থেকে কিছু চোরাই জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বুধবার রাত পর্যন্ত সুদীপবাবুর মোবাইলটি মেলেনি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, কাশীপুরের গোপাল চ্যাটার্জি রোডে দোতলা বাড়িতে বৃদ্ধা মাকে নিয়ে থাকেন সুদীপবাবু। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, মাস তিনেক আগে দমদম মেট্রো স্টেশনে তাঁর রাজুর সঙ্গে আলাপ হয়। রাজু নিজেকে ম্যাসাজে সিদ্ধহস্ত বলে জানিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই দু’জনের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। বেশ কয়েক বার রাজু এসে তাঁকে ম্যাসাজও করে দিয়ে যান। এর পরে গত ২১ ডিসেম্বর রাজু তাঁর বাড়িতে আসেন। ম্যাসাজ শুরু করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে প়ড়েন সুদীপবাবু। ঘুম ভাঙলে দেখেন, রাজু নেই। আর নেই তাঁর হাতের আংটি, মোবাইল ফোন এবং আরও কিছু গয়না। তার পরেই থানায় যান সুদীপবাবু।

লালবাজারের একটি সূত্রের দাবি, থানা ও গোয়েন্দা বিভাগ জোরকদমে চোর ধরতে নেমেছিল। কিন্তু ছবি না মেলায় রাজুকে ধরতে বেগ পেতে হচ্ছিল তাঁদের। পরে মোবাইল ফোনের টাওয়ার খতিয়ে দেখে রাজুর অবস্থানের হদিস পান তাঁরা। সেই সূত্র ধরেই বর্ধমানে হানা দিয়ে পাকড়াও করা হয় তাঁকে।

রাজুকে জেরার পরে পুলিশের দাবি, সুদীপবাবুকে বিশেষ ধরনের ম্যাসাজ করার জন্য দৈনিক তিনশো টাকা করে পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই টাকা মিলত না। সে দিন ম্যাসাজ শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই সুদীপবাবু গভীর ঘুমে তলিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে মোবাইল ও আংটি নিয়ে চম্পট দেন রাজু। পুলিশের কাছে তিনি আরও দাবি করেছেন, বাকি গয়না আগেই হাতসাফাই করেছিলেন। সেগুলি বেচে দিয়েছেন বর্ধমানের একটি সোনার দোকানে। রাজুর বিরুদ্ধে বর্ধমানেও একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন