ভিভিপ্যাট। ফাইল চিত্র।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় দশেরা-দীপাবলির অনুল্লেখ থেকে শুরু করে ভোটযন্ত্রের, ঘাটতি, ভিভিপ্যাট না-থাকার মতো নানা বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পুরভোট নিয়ে মামলাকারীর কৌঁসুলি। এই অবস্থায় কমিশন ইতিমধ্যে কলকাতা হাই কোর্টে যে-হলফনামা জমা দিয়েছে, সেই ব্যাপারে রাজ্য সরকার এবং মামলাকারীদের বক্তব্য দু’দিনের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিল আদালত। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার জানায়, ফের শুনানি হবে শুক্রবার।
পুরভোট নিয়ে দু’টি আলাদা মামলা হয়েছে। একটি মামলা করেছেন বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্য মামলাটি করেন মৌসুমী রায় নামে এক মহিলা। মামলাকারী বিজেপি নেতার আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ এ দিন আদালতে জানান, কমিশনের হলফনামায় বিভিন্ন উৎসবের কথা বলা হলেও দশেরা, দীপাবলির উল্লেখ নেই। সেই উৎসবগুলি বাদ যাবে কেন? কমিশন যে ইভিএম বা বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রের অপ্রতুলতার কথা বলেছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন
পিঙ্কিদেবী।
সেই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, কেন ভিভিপ্যাট রাখা হবে না? তাঁর বক্তব্য, ২০১৫ সালে ৯১টি পুরসভার ভোটের জন্য আট হাজার ইভিএম চাওয়া হয়েছিল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সেই ইভিএম দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাই পরিকাঠামোর ঘাটতি এবং ভিভিপ্যাটহীন ইভিএমের কথা কেন বলছে কমিশন?
মৌসুমীদেবীর কৌঁসুলি সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় তাঁর সওয়ালে জানান, হলফনামায় কবে ভোট হবে, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়াই কমিশন হলফনামা জমা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।