অস্ত্রের কারবারি গ্রেফতার

কিছুদিন ধরেই গোয়েন্দারা খবর পাচ্ছিলেন এক অস্ত্র ব্যবসায়ী ও তার সঙ্গীরা আশ্রয় নিয়েছে বন্দর এলাকার কোনও হোটেলে। সেই মতো ওই এলাকার বিভিন্ন হোটেলে নিজেদের সোর্স রেখেছিলেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৭ ০১:১৭
Share:

কিছুদিন ধরেই গোয়েন্দারা খবর পাচ্ছিলেন এক অস্ত্র ব্যবসায়ী ও তার সঙ্গীরা আশ্রয় নিয়েছে বন্দর এলাকার কোনও হোটেলে। সেই মতো ওই এলাকার বিভিন্ন হোটেলে নিজেদের সোর্স রেখেছিলেন তাঁরা।

Advertisement

মঙ্গলবার বিকেলে সিআইডির গোয়েন্দারা খবর পান ফ্যান্সি মার্কেটের কাছে একটি হোটেলে রয়েছে তিন সন্দেহভাজন। ওই হোটেলে হানা দিয়ে গ্রেফতার করা হয় মুঙ্গেরের অস্ত্র ব্যবসায়ী ভিকি ওরফে জামিরুল হাসানকে। ধরা পড়ে তার দুই সঙ্গী মহম্মদ তারিফ ও মহম্মদ সাব্বিরও। তারা বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা বলে জানান গোয়েন্দারা।

সিআইডি সূত্রের খবর, ভিকি অস্ত্র চোরাচালান চক্রের মূল পাণ্ডা। মূলত কলকাতা ও মুঙ্গেরের মধ্যে বেআইনি অস্ত্র সরবরাহ হতো তার মাধ্যমেই। সিআইডির দাবি, কলকাতায় বন্দর এলাকাতেও বেআইনি অস্ত্রের কারখানা তৈরি করেছিল সে। ধৃতদের কাছে প্রায় ৬৯ রাউন্ড গুলি মেলে। কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় তা পৌঁছে দিতেই ধৃতেরা এসেছিল।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের গোড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্তোষপুরে ট্রেনে অস্ত্র পাচারের সময়ে ধরা পড়ে ইমাদুল নামে এক অস্ত্রপাচারকারী। তার কাছে মেলে ১০টি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র। তখনই সামনে আসে ভিকির নাম। মূলত ভিকির সাহায্যেই মুঙ্গের থেকে কলকাতায় অস্ত্র আসছে বলে জানায় ইমাদুল। এর পরেই ইনস্পেক্টর কৃষ্ণেন্দু ঘোষের নেতৃত্বে বিশেষ দল গড়েন সিআইডি কর্তারা।

এক তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, ভিকির নাম জানলেও প্রথমে বিশদ তথ্য মিলছিল না। কিছুদিন আগেই জানা যায় ভিকির আসল নাম জামিরুল, বাড়ি মুঙ্গেরে। মোবাইলের সূত্রে জানা যায়, কলকাতায় হোটেলে সঙ্গীদের নিয়ে থাকছে সে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, নাম ভাঁড়িয়ে দুই সঙ্গীর ভোটার কার্ড দিয়ে খিদিরপুরের হোটেলে আশ্রয় নিয়েছিল ভিকি। গুলি পাচার ও অস্ত্র পাচারের উদ্দেশ্যেই তারা ঘাঁটি গেড়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement