Herbal colour

ভেষজ আবির ও ধূপকাঠির বিপণি খুলছে পুরসভা

মঙ্গলবার উত্তর দমদম পুরসভার সদর দফতরে বিপণির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫ ০৯:২৭
Share:

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র।

ফেলে দেওয়া পুজোর ফুল, পাতা থেকে ভেষজ আবির এবং ধূপকাঠি তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই মতো শুরু হয়েছিল কাজ। এ বার সেই সব উৎপাদিত সামগ্রীর বিক্রয় কেন্দ্র চালু করল উত্তর দমদম পুরসভা। মঙ্গলবার উত্তর দমদম পুরসভার সদর দফতরে ওই বিপণির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, উৎপাদিত সামগ্রীর গুণমান কেমন এবং তা আদৌ
ব্যবহারযোগ্য কিনা, জানতে সেগুলি দু’টি পরীক্ষাগার থেকে পরীক্ষা করানো হয়েছে। দু’জায়গা থেকেই মিলেছে শংসাপত্র। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয়, উৎপাদিত ভেষজ আবির ও ধূপকাঠি বিক্রি করা হবে। সেই মতো চার জায়গায় বিপণি খোলা হবে। পুর ভবন ছাড়াও বিশরপাড়া, পাঠানপুর মোড় এবং ২৩৭ নম্বর বাস স্ট্যান্ডে দোকান খোলা হচ্ছে। ওই দোকানগুলিতে আবির, ধূপকাঠির পাশাপাশি জৈব সারও থাকবে। আবির উৎপাদনের কাজটি করছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।

পুরসভা সূত্রের খবর, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রকল্পের অধীনে জঞ্জাল থেকে জৈব সার তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। সেই মতো বাড়ি বাড়ি ঘুরে পুজোর ফুল ও পাতা
সংগ্রহ করা হচ্ছিল। সেই ফুল থেকে আবির ও ধূপকাঠি তৈরি করার পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই এই কাজ করছেন। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ কেজি ফুল সংগ্রহ করা হচ্ছে। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘এর জেরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর
মহিলাদের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি পুরসভারও আয় বাড়বে। সুডা (স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি) থেকেও এ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’’

উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস বলেন, ‘‘ব্যবহৃত ফুল থেকে ভেষজ আবির, ধূপকাঠি তৈরি হচ্ছে। সেই সব সামগ্রীর গুণমান পরীক্ষা করানো হয়েছে। এ বার তা বিক্রি করারও ব্যবস্থা হল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন