গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যাই করেছেন রঞ্জিত বরাট। ময়না-তদন্তের পর এমনই জানাল পুলিশ। শুক্রবার রাতে মানিকতলা হাউসিং এস্টেটে সিইএসসি-র প্রাক্তন ডেপুটি কমার্শিয়াল ম্যানেজার রঞ্জিতবাবুর (৬৩) ফ্ল্যাটে আগুন লাগে। আগুন নেভানোর পরে রঞ্জিতবাবুর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও দমকল। বসার ঘর থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁর স্ত্রী সুতপা বরাটকে।
ঘটনার পরে আবাসনের বাসিন্দাদের একাংশ জানান, রঞ্জিতবাবু ও সুতপাদেবীর মধ্যে প্রায়ই বচসা হতো। শুক্রবারও চিৎকার শোনা গিয়েছিল। বাসিন্দাদের কেউ কেউ অভিযোগ করেন, বিবাদের জেরেই রঞ্জিতবাবু খুন হয়েছেন। তাঁর পরিজনেরা কোনও অভিযোগ না করায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়। পুলিশ জানায়, ময়না-তদন্তের রিপোর্টে রঞ্জিতবাবু আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই রিপোর্টই আদালতে জানানো হবে।
বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে শনিবার গুড়গাঁও থেকে আসেন রঞ্জিতবাবুর মেয়ে সুরঞ্জনা। তিনি বাবার মৃত্যু নিয়ে কোনও মামলা করেননি। তাঁর হাতেই রঞ্জিতবাবুর দেহ তুলে দেয় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রঞ্জিতবাবু গায়ে আগুন লাগিয়েছিলেন। তা থেকে ঘরেও আগুন লাগে। সব মিলিয়ে বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইডের ধোঁয়া তৈরি হয়েছিল। তা থেকেই দমবন্ধ হয়ে জ্ঞান হারিয়েছিলেন সুতপাদেবী।
মানিকতলা হাউসিং এস্টেটের বাসিন্দারা জানান, শনিবার রাতে রঞ্জিতবাবুর অন্ত্যেষ্টির পর আর ওই ফ্ল্যাটে ফেরেননি সুতপাদেবী ও সুরঞ্জনা। তাঁরা দু’জন বাগুইআটিতে সুতপাদেবীর মায়ের বাড়িতে চলে গিয়েছেন। এ দিন বরাট পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কেউ কথা বলতে চাননি।