সাংসদ তহবিলের টাকা জমা পড়েছে পুরসভার কোষাগারে। ওই টাকায় কী কাজ হবে, তা-ও জানিয়ে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সাংসদ। কিন্তু পদ্ধতিগত প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে কাজ শুরু করতে। গোটা বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে পুর প্রশাসন। কারণ, ২০১৮ শেষ হয়ে গেলেও কাজ শুরু করা যায়নি। আবার নতুন বছরে লোকসভা ভোট। যে কোনও সময়ে ঘোষণা হতে পারে দিনক্ষণ। তাতে আটকে যাবে কাজ। তাই দ্রুত জমা থাকা টাকায় কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, শহরের দু’টি লোকসভা কেন্দ্র উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার দুই সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সী। তাঁদের সাংসদ তহবিলের টাকা খরচ করার ভার কলকাতা পুর প্রশাসনের। নিয়ম মতো, স্কুল-কলেজ এবং অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোনও নির্মাণকাজ, রাস্তা তৈরি, আলো লাগানো-সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজে তাঁর তহবিলের টাকা খরচ করতে পারেন সাংসদ। তবে সে বিষয়ে সাংসদের কাছে আবেদন জানাতে হবে। তিনি আবেদন অনুমোদন করে পাঠিয়ে দেবেন নোডাল এজেন্সি কলকাতা পুরসভায়।
সাংসদ তহবিল খরচের জন্য আলাদা দফতরও রয়েছে পুরসভায়। প্রতি মাসে সাংসদ বা তাঁর প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে তারা। গত নভেম্বরে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন পুর কমিশনার খলিল আহমেদ, বিশেষ কমিশনার এবং অন্য পদস্থ আধিকারিকেরা। সেখানেই জানানো হয় রাস্তা, নিকাশি, আলো এবং উদ্যানের জন্য সাংসদ তহবিলে প্রায় ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও কাজ শুরু হয়নি। সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের কাছে দেরির কারণ জানতে চান পুর কমিশনার। কয়েক জন অফিসারকে ধমকও দেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বলা হয়, পদ্ধতিগত কারণে বিলম্ব হয়েছে। তা শুনে দ্রুত কাজ শুরু নির্দেশ দেন কমিশনার। এর পরেই তোড়জোড় শুরু হয়।