জ্যোতিবাবু, সুভাষ চক্রবর্তীর মূর্তি তুলে ফেলা হল নর্দমায়

ক্লাবের সামনে বেদীর উপর চার জনের মূর্তি ছিল। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, তরুণ সেনগুপ্ত, জ্যোতি বসুর পাশেই ছিল সুভাষ চক্রবর্তীর আবক্ষ মূর্তি। কিন্তু, গত সোমবার রাতে সেই চারটি মূর্তির দু’টিকে বেদীর উপর থেকে তুলে নিয়ে পাশের নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল রাজারহাট বাবলাতলার তরুণ সেনগুপ্ত উপনগরী। জ্যোতিবাবু এবং সুভাষ চক্রবর্তীর মূর্তি এ ভাবে ফেলে দেওয়ায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এই নিয়ে এয়ারপোর্ট থানায় একটি ডায়েরি করা হয়েছে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই ঘটনায় আমাদের দলের কোনও যোগ নেই। যারাই এই কাজ করুক না কেন, খুবই নিন্দনীয়।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৫ ১৩:৫৫
Share:

তুলে নেওয়া হয়েছে মূর্তি।

ক্লাবের সামনে বেদীর উপর চার জনের মূর্তি ছিল। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, তরুণ সেনগুপ্ত, জ্যোতি বসুর পাশেই ছিল সুভাষ চক্রবর্তীর আবক্ষ মূর্তি। কিন্তু, গত সোমবার রাতে সেই চারটি মূর্তির দু’টিকে বেদীর উপর থেকে তুলে নিয়ে পাশের নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল রাজারহাট বাবলাতলার তরুণ সেনগুপ্ত উপনগরী। জ্যোতিবাবু এবং সুভাষ চক্রবর্তীর মূর্তি এ ভাবে ফেলে দেওয়ায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এই নিয়ে এয়ারপোর্ট থানায় একটি ডায়েরি করা হয়েছে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই ঘটনায় আমাদের দলের কোনও যোগ নেই। যারাই এই কাজ করুক না কেন, খুবই নিন্দনীয়।’’

Advertisement


এই সেই নর্দমা।

সিপিএম এই ঘটনার জন্য তৃণমূলকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে। এলাকার সিপিএম নেতা তথা রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা সরাসরি তৃণমূলের নাম করছি না। তবে আমাদের ধারণা, ওরাই এই কাজ করেছে। আমাকে এলাকা থেকে উত্খাত করে এখানে নিজেদের ক্ষমতা কায়েম করতে চায় ওরা। কিন্তু, আমরা কোনও প্ররোচনায় পা দিচ্ছি না।’’ কিন্তু, তৃণমূল সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা ডাম্পি হালদার বলেন, ‘‘ওই ক্লাবটি এক কালে সিপিএমের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু, বর্তমানে সেখানে কোনও পরিচালন সমিতি নেই। ওরাই নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে মূর্তি সরিয়ে দিয়ে ডোবায় ফেলেছে। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও যোগ নেই।’’

Advertisement

এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের মত, সিপিএমের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই এমনটা হয়েছে। তাঁদের দাবি, বেশ কয়েক বছর আগে ওই ক্লাবে যখন মূর্তিগুলি বসানো হয়, তখন ক্লাব সদস্যদের অনেকেই বারণ করেছিলেন। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক জনের কথায়, ‘‘নেতাজির পাশে জ্যোতিবাবু, সুভাষবাবুদের মূর্তি বসানো অনেকেই মেনে নিতে পারেননি।’’ তখন সিপিএমের রমরমা থাকায় তেমন ভাবে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেননি। এখন সিপিএমের সেই দিন আর নেই। তাই ক্লাবেরই কারও কারও সঙ্গে এই কাজের যোগ থাকতে পারে বলে তাঁদের মত।

ছবি: শৌভিক দে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন