প্রতীকী ছবি
বাড়িতে মৃত্যু হলেও করোনা সন্দেহে সৎকারে বিলম্ব হওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে শহরে। সেই পরিস্থিতি এড়াতে ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরদের উপরে এ বার বাড়তি দায়িত্ব দিতে চাইছে প্রশাসন। ওয়ার্ডের কোনও বাসিন্দা মারা গেলে সে সম্পর্কে খবর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরদের। মৃত্যুর খবর জানতে প্রয়োজনে তাঁরা স্থানীয় থানার সাহায্যও নিতে পারেন।
মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরেও করোনা সন্দেহে বাড়িতে পড়ে রয়েছে দেহ— সম্প্রতি এমন একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার প্রতিটি বরোর চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরদের নিয়ে ভিডিয়ো বৈঠক করেন পুর কর্তৃপক্ষ। সেখানে ছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। সেখানেই ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরদের ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়। যদিও সরকারি পরিষেবা ঠিক মতো মিলছে না বলে ওই বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর। বিরোধী দলের তো বটেই, শাসক দলেরও বহু ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরের দাবি, পরিকাঠামোগত সমস্যার ফলেই পরিষেবা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।
এ দিন স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, “বাইপাস সংলগ্ন মুকুন্দপুর, অজয়নগর এলাকায় হাসপাতাল বেশি, তাই সেখানে আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি। কারণ, রোগী ছাড়াও ডাক্তার, নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা সেখানে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয় ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরেরাই এ কথা জানিয়েছেন। তাই তাঁদের এবং পুলিশের মধ্যে সমন্বয় করতেই এই উদ্যোগ।’’ কলকাতা পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বলেন, “অনেক সময়ে ডেথ সার্টিফিকেট পেতেও সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট না পেলে মৃত্যুর কারণও বোঝা যাচ্ছে না।’’ তাই তিনি জানাচ্ছেন, এমন হলে তাঁকে অথবা পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষকে সরাসরি জানানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে মৃতদেহ কোনও সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ময়না-তদন্ত করানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘ভর্তি নেয়নি’ হাসপাতাল, মৃত্যু প্রাক্তন বিচারকের
এ ছাড়া সরকারি কোভিড-চিকিৎসা পরিষেবা সংক্রান্ত খবর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। অ্যাম্বুল্যান্স এবং কোভিড হাসপাতালের নম্বর ছাড়াও তাতে পুর স্বাস্থ্য দফতরের মুখ্য আধিকারিক ও পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যানের নম্বর দেওয়া থাকবে।