উদ্যোগ: প্ল্যাটফর্মে কাজ চলছে। নিজস্ব চিত্র
অবশেষে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার গড়িয়া রেল স্টেশনে শুরু হল প্ল্যাটফর্মের উচ্চতা বাড়ানোর কাজ। দীর্ঘ দিন ধরে প্ল্যাটফর্ম দখল করে থাকা দোকানপাট সরাতে না পারায় ওই কাজ এত দিন শুরু করা যায়নি। সম্প্রতি প্ল্যাটফর্মকে তিন ভাগে ভাগ করে কাজ শুরু করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। পর্যায়ক্রমে এক একটি ভাগে প্ল্যাটফর্মের উচ্চতা বাড়ানো হচ্ছে।
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় সোনারপুর, ক্যানিং, বারুইপুর, ডায়মন্ডহারবার এবং নামখানাগামী সব ট্রেনই গড়িয়া স্টেশন ছুঁয়ে যায়। ফলে সারাদিনে ওই স্টেশন দিয়ে কমবেশি শ’দেড়েক ট্রেন এবং কয়েক হাজার যাত্রী ওই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করলেও পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। প্ল্যাটফর্ম জুড়ে থাকা প্রায় ৬০-৭০ টি ছোট বড় দোকানের চাপে গড়িয়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পা রাখাই দায়। চা, ফল, ঘুগনি, পান-সিগারেট, বা সোডার দোকান ছাড়াও আরও নানা দোকান রয়েছে ওই প্ল্যাটফর্মে।
তার মধ্যে প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনের ব্যবধান বেশি থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়তে হত যাত্রীদের। ভিড়ে ট্রেনে ওঠা-নামার সময়ে পড়ে হাত-পায়ে চোট পাওয়ার একাধিক ঘটনার অভিযোগ হত ওই স্টেশনে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ট্রেনের পাটাতনের উচ্চতার থেকে ফুট খানেক উচ্চতা কম ছিল ওই স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের। সব দিকে দেখেই মাস কয়েক আগে শিয়ালদহ ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনের সঙ্গে গড়িয়ার প্ল্যাটফর্মের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রকল্পও অনুমোদন পায়। ওই স্টেশনে একটি মাত্র আইল্যান্ড প্ল্যাটফর্ম (প্ল্যাটফর্মের দু’পাশে রেললাইন) থাকায় যাত্রীদের দৈনন্দিন ওঠা-নামা বজায় রেখে কী ভাবে কাজ করা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। রেল সূত্রের খবর, এর আগে বালিগঞ্জ স্টেশনের ৩ এবং ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের উচ্চতা বাড়ানো সময়ে কয়েক মাসের জন্য দু’টি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ রাখা হয়েছিল।
রেল কর্তৃপক্ষ প্ল্যাটফর্মে থাকা বিভিন্ন দোকানের মালিকের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। স্থির হয়, প্রায় ২৫০ মিটার লম্বা প্ল্যাটফর্মে তিন ভাগে ওই কাজ হবে। সেই মতো সম্প্রতি গড়িয়া স্টেশনের দক্ষিণ প্রান্তের উচ্চতা বাড়ানো শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সে জন্য ১৫-২০ টি দোকান সাময়িক ভাবে সরাতে রাজি হয়েছেন মালিকেরা। এর পরে মাঝের অংশের কাজ শুরু হবে। শেষে উত্তরের উচ্চতা বৃদ্ধির কাজ করা হবে।
সামগ্রিক ভাবে প্ল্যাটফর্মের উচ্চতা বৃদ্ধির কাজ শুরু হওয়ায় খুশি নিত্যযাত্রীরা। ওই রুটের নিত্যযাত্রী এক শিক্ষিকা বলেন, ‘‘ওই প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠা-নামা খুবই অসুবিধেজনক ছিল। বয়স্কদের সমস্যা তো আরও বেশি। দূরত্ব কমলে তো খুবই ভাল হয়।’’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিয়ালদহ ডিভিশনের রেলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পুরো কাজ শেষ হতে প্রায় মাস তিনেক লাগবে।’’