প্রতীকী ছবি।
টহলদারিতে বেরিয়ে সন্দেজনক আচরণ দেখে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাকে জেরার পরে ঠাকুরপুকুর ও হরিদেবপুর থানার নজরদারিতে ধরা পড়ে যায় ওই এলাকায় একের পর এক চুরি এবং ছিনতাইয়ে যুক্ত দুষ্কৃতী দল।
এই ঘটনাকে মনে রেখে থানায় দায়ের হওয়া সমস্ত চুরির অভিযোগকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে ওসিদের বুধবার নির্দেশ দেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। এ দিন আলিপুর বডিগার্ড লাইনে পুলিশ কমিশনারের মাসিক ক্রাইম বৈঠকে ঠাকুরপুকুর এবং হরিদেবপুর থানার আধিকারিকদের প্রশংসাও করেন তিনি।
লালবাজার সূত্রের খবর, শহরে পুজোর মরসুমে ছিনতাই ও চুরি প্রতি বছরই বাড়ে। পুলিশ ব্যবস্থাও নেয়। তার ফলে গত মাসে শহরের চুরি-ছিনতাই অনেকটা কমেছে। তবুও অপরাধ ঠেকাতে বা তার কিনারায় যাতে গা-ছাড়া মনোভাব না দেখা দেয় তা নিয়ে এ দিন বাহিনীকে সর্তক করেন কমিশনার। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, যে কোনও চুরির অভিযোগের দ্রুত কিনারা করতে হবে, যাতে মানুষ পুলিশের উপরে ভরসা রাখতে পারে। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘যে ভাবে থানার কাজ চালিয়ে থানার অফিসারেরাই অপরাধের কিনারা করছেন, তাতে কমিশনার খুশি। তাই থানার আধিকারিকদের আরও বেশি সর্তক হতে বলেছেন এ দিনের বৈঠকে।’’
পুলিশ সূত্রের দাবি, কমিশনার চান অপরাধের কিনারায় সামান্য কোনও সূত্র পেলে তা দিয়েই তদন্ত শুরু করতে হবে। সিসিটিভির মতো আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারেও জোর দেন তিনি। এ দিনের বৈঠকে লেক থানা এলাকায় সোনার দোকানে ডাকাতি, গড়িয়াহাটে বৃদ্ধা দু’বোনকে মারধর করে ডাকাতি, জোড়াসাঁকোয় রত্ন ব্যবসায়ী খুন, নিউ মার্কেটে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে ডাকাতির কিনারা করার জন্য অফিসারদের প্রশংসা করেন কমিশনার।
সাধারণত ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার অফিসারেরা এই বৈঠকে থাকেন। কিন্তু বুধবার সাব ইনস্পেক্টরেরাও ছিলেন। লালবাজার জানিয়েছে, এখন থেকে কোনও অপরাধী ধরা পড়লে তার নথি রেকর্ড করতে সদর দফতরে যাওয়ার দরকার নেই। এ জন্য প্রতিটি ডিভিশনের একটি করে থানার হাতে ‘ক্রিমিনাল রেকর্ড সেকশন’ নামে অ্যাপস দেওয়া হয়েছে।