মুখ্যমন্ত্রী শিলান্যাস করা সত্ত্বেও দক্ষিণেশ্বরে ‘স্কাই ওয়াক’ প্রকল্পের কাজ শুরুতে বাধা দিয়েছিলেন দোকানদারেরা। শিলান্যাসের ফলক লাগাতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল কেএমডিএ-র আধিকারিকদের। পুর-ভোটের মুখে এই ঘটনা ঘটায় ‘চুপ’ করে ছিল প্রশাসন। এ বার ভোট মিটে নতুন পুরবোর্ড তৈরি হওয়ার পরেই স্কাই ওয়াক তৈরির জট কাটাতে আসরে নামলেন খোদ পুরমন্ত্রী।
মঙ্গলবার কামারহাটি পুরসভায় ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার নীরজ সিংহ, মহকুমা শাসক পূর্ণেন্দু মাঝি, চেয়ারম্যান গোপাল সাহা, দক্ষিণেশ্বরের মন্দির কর্তৃপক্ষ, কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ ও দক্ষিণেশ্বর রানি রাসমণি রোড দোকানদার সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, স্কাই ওয়াক তৈরির বিষয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তই বজায় থাকবে। দোকানদারদের তা মানতেই হবে। প্রকল্পের কাজের জন্য এক বছর রানি রাসমণি রোড বন্ধ থাকবে। তাই অন্যত্র দোকানদারদের নির্দিষ্ট পুনর্বাসনও দেওয়া হবে। কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, ‘‘আপাতত সিদ্ধান্ত হয়েছে, মন্দিরে ঢোকার জন্য পিছনের দিকের যে রাস্তা রয়েছে, সেখানেই ১৩২টি দোকানকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। দোকানদারেরা আগামী বুধবারের মধ্যে এ বিষয়ে তাঁদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে জানাবেন।’’
এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে দোকানদারেরা আগে দাবি করেন, স্কাই ওয়াকের নীচেই দোকান রাখতে হবে। পুরভোটের ঠিক আগে এই বাধা এলে তখনকার মতো চুপ করে যায় প্রশাসন। এ দিন পুরমন্ত্রী বলেন, ‘‘পুলিশ কমিশনার, পুর চেয়ারম্যান, মন্দির কর্তৃপক্ষ, মহকুমা শাসক ও দোকানদার সমিতির সম্পাদককে নিয়ে পাঁচ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা পুনর্বাসনের জায়গা চিহ্নিত করে কেএমডিএ-কে জানাবেন।’’ দোকানদার সমিতির সহ-সম্পাদক গৌতম মালাকার বলেন, ‘‘আমাদের প্রস্তাব মন্ত্রী দেখতেই চাননি। আমরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে তার পরে সিদ্ধান্ত নেব।’’