TMC Rally

সমাবেশের জেরে পথে দেখা নেই বেসরকারি বাসের

সমাবেশের জন্য দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি থেকে সব চেয়ে বেশি সংখ্যায় লোক আনার উপরে জোর দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণে ওই সমস্ত জেলায় বেসরকারি বাস কার্যত রাস্তা থেকে উবে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩ ০৬:৪৩
Share:

ভোগান্তি: একাধিক মিছিলের জেরে রাস্তায় বাস কম থাকার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। বুধবার, ধর্মতলায়। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।

তৃণমূলের ছাত্র-যুব সংগঠনের সমাবেশে কর্মী-সমর্থকদের আনতে যথেচ্ছ ভাবে বাস তুলে নেওয়ায় পথে ভোগান্তির মুখে পড়তে হল সাধারণ যাত্রীদের। বুধবার শহিদ মিনারের সমাবেশে মূলত কলকাতা এবং আশপাশের জেলাগুলি থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আসতে উদ্যোগী হয়েছিলেন শাসক দলের নেতারা।

Advertisement

এ দিনের সমাবেশের জন্য দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি থেকে সব চেয়ে বেশি সংখ্যায় লোক আনার উপরে জোর দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণে ওই সমস্ত জেলায় বেসরকারি বাস কার্যত রাস্তা থেকে উবে যায়। কলকাতা থেকে পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন রুটে যে সব বাস চলে, সেগুলির সিংহভাগও এ দিনের সমাবেশের জন্য তুলে নেওয়া হয়। কলকাতার ক্ষেত্রে মিনিবাস বাদে অন্যান্য বেসরকারি বাস সমাবেশের জন্য তুলে নেওয়া হয়েছিল। তবে, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলির তুলনায় ওই সংখ্যা কিছুটা কম।

বাসমালিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঠিক হয়েছিল, সমাবেশের জন্য বাস তোলা হলেও রুটে অন্তত ২৫ শতাংশ বাস রাখা হবে। কিন্তু, বাস্তবে শহরতলি থেকে সমাবেশে লোক আনার জন্য বাসের চাহিদা তার থেকে অনেক বেশি হওয়ায় বহু ক্ষেত্রেই সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য বাস রাখা যায়নি। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, বনগাঁ, বসিরহাট রুটের যে সব বাস কলকাতার ধর্মতলা থেকে চলে, সেগুলির প্রায় কোনওটাই এ দিন চলেনি বলে অভিযোগ। একই অবস্থা দেখা গিয়েছে বারুইপুর, বাসন্তী, ক্যানিং ও আমতলা রুটের ক্ষেত্রেও। নিউ টাউন এবং সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টর-কেন্দ্রিক কিছু রুটে বাস চললেও তা অফিসফেরত জনতার পক্ষে ছিল যথেষ্ট কম।‌

Advertisement

বেহালা এবং নিউ আলিপুরের বিভিন্ন রুট এ দিন ছিল কার্যত বেসরকারি বাস-শূন্য। রবীন্দ্র সদন থেকে সাঁতরাগাছি, সল্টলেক থেকে ডানকুনি, চিংড়িঘাটা থেকে গড়িয়া বা রুবির বাস পেতে গিয়ে সন্ধ্যায় কার্যত নাজেহাল হতে হয়েছে যাত্রীদের।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ‘অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় এবং ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা সমস্যার কথা মেনে নেন। তাঁদের বক্তব্য, রাস্তায় বাসের সংখ্যা এমনিতেই আগের তুলনায় অনেক কমেছে। তাই আগাম পরিকল্পনা করা সত্ত্বেও সমাবেশের কারণে রুটে বেশি বাস রাখা যায়নি। যার ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন