ধৃত রবি বিশ্বাস (বাঁ দিকে) ও উজ্জ্বলকান্তি ব্যাপারী। — নিজস্ব চিত্র
ভরসন্ধ্যায় জনবহুল রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দোকানে ঢুকে প্রায় ৮৬ হাজার টাকা লুঠ করেছিল তিন দুষ্কৃতী। গত ১৪ জুন সালকিয়া চৌরাস্তা সংলগ্ন বাবুরডাঙায় একটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের দোকানে মুখ বেঁধে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ওই দুঃসাহসিক ডাকাতি হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে শনিবার লিলুয়া থেকে তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করলেন হাও়ড়ার গোয়েন্দা বিভাগের অফিসারেরা।
ঘটনার পরে দোকানের মালিক চণ্ডীদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মালিপাঁচঘরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। মালিক-কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, হাও়ড়়া এবং হুগলির কুখ্যাত দুষ্কৃতী কমল দে-র দলবল এই ঘটনায় জড়িত। ওই দলেরই এক দুষ্কৃতী প্রসেনজিৎ কর্মকার ওই দোকানে কাজ নিয়েছিল। দেড় মাস পরে সে কাজ ছেড়ে চলে যায়। দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে পুলিশ দেখেছে, কাজ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেও প্রসেনজিৎ মাঝেমধ্যে ওই দোকানে আসত। এর পরেই তল্লাশি চালিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় চালিয়ে লিলুয়ার গভর্নমেন্ট কলোনির বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
হাওড়া পুলিশের দাবি, জেরায় প্রসেনজিৎ স্বীকার করেছে, ওই দোকানে লুঠ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। ওই ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের জন্যই সে দোকানে কাজ নিয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই লিলুয়ার চকপাড়া ও ভট্টনগর থেকে গ্রেফতার করা হয় রবি বিশ্বাস এবং উজ্জ্বলকান্তি ব্যাপারী নামে আরও দু’জনকে।
ওই দুই দুষ্কৃতীও দোকানে লুঠের ঘটনায় জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। হাওড়ার গোয়েন্দাপ্রধান সুমিত কুমার রবিবার বলেন, ‘‘প্রসেনজিৎ ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিল না। ঘটনার দিন সিসিটিভি ফুটেজে আরও এক ব্যক্তির উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছে। তার খোঁজ চলছে।’’ গোয়েন্দা প্রধান জানান, ধৃতদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র এবং লুঠের টাকা উদ্ধার হয়নি। তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।