এ ভাবেই যাতায়াত। সোমবার, সোনারপুরের মিশনপল্লিতে।— নিজস্ব চিত্র।
বর্ষার জলে স্কুল চত্বর টইটম্বুর। কোথাও হাঁটুজল তো কোথাও জল কোমর ছাড়িয়েছে। সামনের রাস্তাও গিয়েছে ডুবে। সোনারপুর-কামালগাজি রোড ছাড়িয়ে মিশনপল্লি ঢুকলেই দেখা যাবে এই চিত্র। আর তার জেরেই ওই এলাকার তিনটি স্কুল আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। স্কুলের দরজায় সেই নোটিসও দেওয়া হয়েছে।
প্রায় দিন সাতেক হল পঠনপাঠন বন্ধ রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিশনপল্লি এলাকার সারদা বিদ্যাপীঠ প্রাথমিক ও হাইস্কুল এবং পাশের মিশনারি প্রাথমিক স্কুলে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অল্প বৃষ্টিতে মিশনপল্লিতে জল দাঁড়িয়ে গেলেও কিছু দিনেই তা সরে যায়। এ বার টানা বৃষ্টিতে জমা জল সরছে না। জল জমলেও প্রথম দিকে কিছু দিন স্কুল চালু রাখা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক জন পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ায় পঠনপাঠন বন্ধ করা হয়।
পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ভৌগোলিক কারণেই ওই এলাকা কিছুটা ‘কড়াই’ আকৃতির। বর্ষার জমা জল পাম্প করে সরাতে হয়। কিন্তু অভিযোগ, এ বছর সংস্কারের অভাবে মজে গিয়েছে নিকাশি খাল। ফলে পাম্প করেও জল সরছে না। ফের ফিরে আসছে। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্তিক বিশ্বাস বলেন, ‘‘চারটি পাম্প চালানো হচ্ছে। কিন্তু নিকাশি খালের জল ধারণের ক্ষমতা ও নাব্যতা না থাকায় জল সরছে না।’’ রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস বলেন, ‘‘ওই এলাকার জল খালের মাধ্যমে উত্তরভাগ এলাকায় পৌঁছয়। কিন্তু খালের সংস্কার না হওয়ায় জল সরছে না। সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি দেখছেন। সেচ দফতর খাল সংস্কার শুরু করেছে।’’
সারদা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষিকা মিলি বর্ধন বলেন, ‘‘আপাতত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। এই ক’দিনের পঠনপাঠন পরে নানা ভাবে পূরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।’’ আগামী সপ্তাহের পর থেকে প্রতি শনিবার গোটা দিন স্কুল হবে বলে জানান তিনি। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অন্য দুই স্কুল কর্তৃপক্ষও।