তৃণমূল কাউন্সিলর গোপা পাণ্ডে। —ফাইল চিত্র।
পারিবারিক বিবাদের সালিশি করতে গিয়ে নিগৃহীত হলেন দক্ষিণ দমদমের চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) তথা ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর গোপা পাণ্ডে। শুক্রবার দমদম থানায় গোপাদেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে দুই মহিলাকে। ধৃতদের নাম মানসী ঘোষ এবং তুতুন নন্দ।
দীর্ঘদিন ধরে বেদিয়াপাড়ার ৫২ নম্বর ঝিল কলোনির একটি বাড়ি ঘিরে শ্যামল চক্রবর্তীর পরিবারের সঙ্গে তাঁর দুই বোনঝি মানসী এবং তুতুনের বিবাদ চলছে। শ্যামলের স্ত্রী মিনু চক্রবর্তী জানান, শুক্রবার দুই বোন এসে সেই ঘরের চাবি চান। মিনুদেবী না দেওয়ায় তাঁরা তালা ভেঙে সব জিনিস বার করে দেন।
মিনুর কথায়, ‘‘মানসী নিজেকে আইনজীবী বলে পরিচয় দিত। বলেছিল, ওঁর কাছে ঘর খালি করার আদালতের নির্দেশ রয়েছে।’’ গোলমালের খবর পেয়ে সন্ধ্যায় গোপা ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
স্থানীয় বাসিন্দা পলাশ মণ্ডল জানান, চেয়ারম্যান পারিষদ দুই বোনের কাছে আদালতের কাগজ দেখতে চান। এর পরে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তখনই দুই বোন গোপাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। তা দেখে তৃণমূল মহিলা সমর্থকেরা দুই বোনকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। গোপা বলেন, ‘‘ওঁদের কাছে আদালতের কাগজ দেখতে চাইলে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। বঁটি নিয়ে তাড়া করলে পুলিশ তা কেড়ে নেয়।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনাস্থলে মহিলা পুলিশ না থাকায় পদক্ষেপ করতে দেরি হয়েছে।