হস্টেল আঁকড়েই সরব শাসকপন্থীরা

বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রেসিডেন্সির কিছু পড়ুয়া দেখা করার পরে এই নিয়ে জোরদার জল্পনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:০২
Share:

হিন্দু হস্টেল। ফাইল চিত্র

হিন্দু হস্টেল ফেরত পেতে অবস্থান-অনশনের রাস্তা নিয়েছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। প্রশ্ন উঠছে, সেই আন্দোলনে ভর করেই কি প্রেসিডেন্সিতে মাথাচাড়া দিচ্ছেন শাসকপন্থী পড়ুয়ারা? বৃহস্পতিবার বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রেসিডেন্সির কিছু পড়ুয়া দেখা করার পরে এই নিয়ে জোরদার জল্পনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

শিক্ষামন্ত্রী হিন্দু হস্টেল প্রসঙ্গে এ দিনও জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের অনেক আগে বলা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘উচ্চশিক্ষা দফতরের বিশেষ সচিব শিলাদিত্য বসু রায় সোমবার সকালে হিন্দু হস্টেল পরিদর্শনে যাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ যাতে ছাত্রদের হস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন, সেই ব্যাপারে কথা বলবেন। কবে হস্টেল খুলবে, সেই সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে।’’

ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র সুপ্রিয় চন্দ্রের দাবি, তাঁরা ‘সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী ঐক্যবদ্ধ ছাত্রমঞ্চ’ নামে একটি সংগঠন তৈরি করেছেন। দ্রুত রেজিস্ট্রেশনও পাবেন। তাঁরাও হিন্দু হস্টেল ফিরে পাওয়ার জন্য লড়াই করছেন। হস্টেল ছাত্রদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে এ দিন শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তাঁদের সংগঠন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে সুপ্রিয় বলেন, ‘‘গোটা দেশে সাম্প্রদায়িকতার মুখ একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আদর্শেই আমরা চলব।’’ যদিও নতুন সংগঠন হিন্দু হস্টেল নিয়ে আন্দোলন করছে, এটা মানতে রাজি নয় প্রেসিডেন্সির অন্য দু’টি ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং আইসি।

Advertisement

শিক্ষামন্ত্রী বিধানসভায় নিজের ঘরে বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্সির ছাত্রদের আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসতে অনুরোধ করেছি। প্রতিষ্ঠানের কথা মাথায় রেখে ছাত্রদের আচরণ আরও সংযত হওয়া উচিত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষেরও আরও সংবেদনশীল হওয়া দরকার ছিল।’’ হিন্দু হস্টেলের সংস্কারের ব্যাপারে পূর্তমন্ত্রীর সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে বলে জানান পার্থবাবু। তাঁর বক্তব্য, এক বারে কাজ না-দেওয়ায় সময়মতো (১৫ নভেম্বরের মধ্যে) তা শেষ করা যায়নি বলে পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়ে দিয়েছেন।

হস্টেলের ব্যাপারে এর আগে রাজ্য সরকারের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। এ দিন অবশ্য তিনি বলেন, ‘‘আমরা দায়বদ্ধতার সঙ্গে কাজ করেছি। দ্রুত হিন্দু হস্টেল ফিরিয়ে দিতে চাইছি। ইচ্ছে করে কোনও দেরি করিনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন