জোর করে এক ব্যবসায়ীকে বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজে স্বাক্ষর করানোর অভিযোগ উঠল শাসক দলের এক শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে।
গত অগস্টে ইকবাল মঞ্জু নামে বিহারের বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে একবালপুরের বাসিন্দা এক স্কুল শিক্ষিকার বিয়ে হয়। মাস খানেক বিহার ও কলকাতা যাতায়াত করেন ওই শিক্ষিকাও। তার পরে তিনি ইকবালের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন বলে অভিযোগ। অভিভাবকেরা ইকবালের সঙ্গে সব রকম যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে বলেছেন বলে ফোন করে জানিয়ে দেন ওই স্কুল শিক্ষিকা।
পুলিশকে ইকবাল জানিয়েছেন, গত ৫ অক্টোবর শহরে আসার জন্য তাঁকে ফোন করেন ওই শিক্ষিকা। অভিযোগ, তিনি এলে জোর করে নিউ মাকের্টের একটি বিরিয়ানির দোকানের পাশের তৃণমূল পরিচালিত প্রোগ্রেসিভ হকার্স ইউনিয়নের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ প্রায় ১০-১৫ জন তাঁকে ঘিরে ধরে। অভিযোগ, সেখানে ইউনিয়নের সম্পাদক মহম্মদ নাদিম স্বেচ্ছায় বিবাহ বিচ্ছেদ করেছেন বলে তালাকনামায় স্বাক্ষর করতে চাপ দেন তাঁকে। ইকবালকে শহর ছেড়ে যাওয়ার জন্যও শাসানি দেন। ইকবালের স্ত্রীও সেখানে ছিলেন। আরও অভিযোগ, ফ্ল্যাট কেনার জন্য ১৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন ওই শিক্ষিকা। তা-ও ফেরত দেওয়ার কোনও কথা হয়নি।
ওই শিক্ষিকার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’ তবে শ্রমিক নেতার দাবি, ‘‘ছেলেটির আরও দু’টি বিয়ে আছে। ওই শিক্ষিকা আমাদের কাছে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। আমরা ইকবালকে শাসাইনি। ছেলেটি স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করেছে।’’ ওই শ্রমিক নেতা-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। নিউ মার্কেট থানা সূত্রের খবর, দু’পক্ষই অভিযোগ করেছে। তদন্তও চলছে। রাজ্য প্রোগ্রেসিভ হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি মদন মিত্র বলেন, ‘‘আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। অন্যায় করলে শাস্তি পাবে। পুলিশ তদন্ত করুক।’’