প্রতিবাদের মূল বিষয় একটাই: নোটের চোট। তাকে সামনে রেখে আজ, সোমবার পৃথক পৃথক ভাবে পথে নামবে রাজ্যের তিন প্রধান রাজনৈতিক দল। বামেরা তাঁদের ডাকা আজকের হরতালের সমর্থনে মিছিল করবে। আলাদা মিছিল করবে শাসক দল তৃণমূল ও কংগ্রেস। স্বয়ং মুখম্যন্ত্রী থাকবেন শাসক দলের মিছিলে। স্বাভাবিক কারণেই আড়ে-বহরে সেই মিছিল সবচেয়ে বড় হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত। বাম ও কংগ্রেসের মিছিল দু’টিতেও আলাদা আলাদা ভাবে তাঁদের দুই শীর্ষ নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র ও অধীর চৌধুরীর থাকার কথা। সব মিলিয়ে সকাল থেকেই মিছিলের জালে জড়াবে শহর। পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়াবে, তারই আগাম আঁচ।
আশঙ্কা
বামেদের মিছিলের জেরে সকাল ১০টা থেকে শিয়ালদহ থেকে মল্লিকবাজার পর্যন্ত এ জে সি বসু রোড, ধর্মতলা, লেনিন সরণি, ওয়েলিংটন স্কোয়ারের যান চলাচল ব্যাহত হবে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যানজট হতে পারে কলেজ স্ট্রিট, মহাত্মা গাঁধী রোড, বিধান সরণি, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, এস এন ব্যানার্জি রোড, এ জে সি বসু রোড, সিআইটি রোড, গভর্নমেন্ট প্লেস (ইস্ট), পার্ক স্ট্রিট এবং পার্ক সার্কাসে। যার প্রভাব প়ড়তে পারে শেক্সপিয়র সরণি, আশুতোষ মুখার্জি রোড-সহ দক্ষিণ কলকাতার একাংশ এবং ইএম বাইপাসের দিকেও।
পুলিশি বন্দোবস্ত
হরতাল ও মিছিলের জন্য ১১ জন ডেপুটি কমিশনার এবং ২১ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের নেতৃত্বে প্রায় ৩০০০ পুলিশ রাস্তায় থাকবে। এ ছাড়াও থাকবেন ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা। বিভিন্ন রুটে ন্যূনতম সময় গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকতে পারে। মিছিল এক-একটি এলাকা পার করলেই সেখানে গাড়ি চলাচল শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের পরামর্শ
বাস, ট্যাক্সির চেয়ে মেট্রো ধরে যাতায়াত করা ভাল। দুপুর ১টার পরে মধ্য কলকাতা এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময়ের আগে গন্তব্যে পৌঁছন। ইএম বাইপাস ধরে যাতায়াত করলে কম যানজটে পড়তে পারেন। অসুবিধায় পড়লে জানান কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে।
সূত্র: কলকাতা পুলিশ