দেড় বছর পরে ফের টোল চালু হল ব্যারাকপুর কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে। এক বছর আগেই কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েকে কেএমডিএ হস্তান্তর করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সড়ক উন্নয়ন নিগমের কাছে।
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, বিটি রোড ও জিটি রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ দু’টি রাজ্য সড়কের সংযোগকারী এই এক্সপ্রেসওয়ে আগাগোড়াই অবহেলিত। রোজ গাড়ির সংখ্যা বাড়লেও রাস্তা সম্প্রসারণের পরিকল্পনাটুকুই হয়েছে নামমাত্র। চার লেনের পরিকল্পনা করে গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। খাপছাড়া ভাবে কোথাও দুই লেন হলেও নিমতায় গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে এই রাস্তা। নিমতা নদীকূলের কাছ থেকে মাত্র সওয়া এক কিমি বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযোগকারী অংশের মানচিত্র করে জমি নেওয়ার কাজ শুরু হয় বছর পাঁচেক আগে। তা-ও এখন বিশ বাঁও জলে। যদিও স্থানীয় সাংসদ সৌগত রায়ের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন স্থানীয়েরা। সৌগতবাবুর আশ্বাস, ‘‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এক সময়ে এই রাস্তায় টোল নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল, আদৌ সরকারি কোষাগারে টোলের টাকার কতটা পৌঁছয়, তা নিয়ে। টোল দেওয়ার মতো রাস্তা নয় বলে গাড়িচালকেরা প্রশ্নও তুলেছেন। শেষে কেএমডিএ টোল বন্ধ করে দেয়। হস্তান্তরের পরে নিগম এই রাস্তা সংস্কারের খসড়া তৈরি করে ও তার খরচ তুলতে ফের টোল বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। শুক্রবারই পুরনো টোলের টিকিট ঘরগুলি ঠিক করা হয়। এ দিন থেকেই টোল নেওয়া শুরু হয়। পশ্চিমবঙ্গ সড়ক উন্নয়ন নিগমের প্রকল্প অধিকর্তা কুণাল বড়ুয়া বলেন, ‘‘নতুন টেন্ডার করে এই টোল প্লাজা চালু করলাম। সোদপুর, ব্যারাকপুর, কাঁচরাপাড়ায় টোল নেওয়া হবে। রাস্তা সংস্কারের জন্য টোল নেওয়া জরুরি।’’ ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের নেতা তথা পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘একটাই আর্জি, যাঁরা আগে এই টোল প্লাজাগুলিতে কাজ করতেন, তাঁরা যেন কাজ পান।’’