রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ রইল ট্র্যাফিক-ক্যামেরা

পুলিশ জানিয়েছে, শুধু ওই ট্র্যাফিক গার্ড নয়, শহরের ২৫টি ট্র্যাফিক গার্ড এলাকাতেই কলকাতা পুলিশের লাগানো সমস্ত ক্যামেরা শুক্রবার রাত থেকে বন্ধ ছিল।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৯ ০২:২১
Share:

প্রতীকী চিত্র।

রোদের তাপ এবং গরমকে উপেক্ষা করেই সকাল থেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করছিলেন ট্র্যাফিক গার্ডের এক অফিসার। রাস্তায় গাড়ির চাপ কিছুটা কমতেই নিজের অফিসে ফিরে আসেন তিনি। তার পরে নিজের এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে যান চলাচলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অভ্যাসমতো সিসিটিভি-র মনিটরে নজর রাখতেই দেখেন, সব ক্যামেরা বন্ধ। তখন খেয়াল হয়, ক্যামেরা তো বন্ধ থাকারই কথা!

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, শুধু ওই ট্র্যাফিক গার্ড নয়, শহরের ২৫টি ট্র্যাফিক গার্ড এলাকাতেই কলকাতা পুলিশের লাগানো সমস্ত ক্যামেরা শুক্রবার রাত থেকে বন্ধ ছিল। শুক্রবারই লালবাজারের এক বৈঠকে প্রতিটি ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি-কে ক্যামেরা বন্ধের বিষয়টি জানানো হয়েছিল। আজ, রবিবার পর থেকে ক্যামেরাগুলি ফের চালু হওয়ার কথা।

শহর জুড়ে এখন লালবাজারের ট্র্যাফিক বিভাগের কমবেশি ১৬০০ ক্যামেরা বসানো রয়েছে। তার মধ্যে কাজ করছে ১৩৫১টি। মূলত শহরের যান চলাচলের উপরে নজর রাখা হয় ওই ক্যামেরার মাধ্যমে। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘটনা ও দুর্ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রেও ওই ফুটেজের সাহায্য নেওয়া হয়। লালবাজার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় ওই সমস্ত সিসি ক্যামেরা। এ ছাড়া, ট্র্যাফিক গার্ডের কর্মীরাও ক্যামেরার ছবি দেখে যান নিয়ন্ত্রণ করেন। পুলিশের দাবি, বাস, ট্রাক, গাড়ি কিংবা মোটরবাইক ট্র্যাফিক-বিধি ভাঙলে ওই ফুটেজ দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বেপরোয়া গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রেও ভরসা এই সব সিসি ক্যামেরা।

Advertisement

কেন বন্ধ রাখা হচ্ছে সমস্ত ক্যামেরা?

পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছু দিন আগে শহরের একটি রাস্তায় গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক মোটরবাইক আরোহীর। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই গাড়িটিকে চিহ্নিত করার জন্য এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে শুরু করে। কিন্তু অস্পষ্ট ছবির কারণে গাড়িটিকে ধাক্কা মারতে দেখা গেলেও উদ্ধার করা যায়নি সেটির নম্বর কিংবা রং।

লালবাজার জানাচ্ছে, শুধু ওই ঘটনাই নয়, অস্পষ্ট ছবির কারণে তদন্তকারীরা বারবার বাধা পেয়েছেন দুর্ঘটনা কিংবা অপরাধের তদন্তে। তাই পরিকাঠামো উন্নত করার জন্যই শুক্রবার রাত থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে ট্র্যাফিক বিভাগের সমস্ত সিসিটিভি। মেরামতির সঙ্গেই বদল করা হচ্ছে খারাপ হয়ে যাওয়া বিভিন্ন সিসি ক্যামেরা। এ ছাড়া, প্রতিটি ক্যামেরার লেন্স ভাল ভাবে পরিষ্কার করা হচ্ছে। ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, সিসিটিভি-র সার্ভারও উন্নত করা হচ্ছে।

ক্যামেরা বন্ধ থাকলে কি সুবিধা হবে ট্র্যাফিক আইনভঙ্গকারীদের?

লালবাজারের দাবি, কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের ক্যামেরা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ থাকলেও সমস্ত ডিভিশন এবং থানার ক্যামেরা চালু থাকছে ওই সময়ে। ওই সমস্ত ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই আইনভঙ্গকারী কিংবা বেপরোয়া গাড়ির চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন