হাওড়া থেকে অফিসপাড়া, হাঁসফাঁস বাস-ট্যাক্সির জটে

সপ্তাহের অন্য ব্যস্ত দিনের তুলনায় রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা কম এবং বিজেপির লালবাজার অভিযানের মিছিলেও ভিড় কম থাকায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচল কলকাতা পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৭ ০২:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

সপ্তাহের অন্য ব্যস্ত দিনের তুলনায় রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা কম এবং বিজেপির লালবাজার অভিযানের মিছিলেও ভিড় কম থাকায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচল কলকাতা পুলিশ।

Advertisement

শহরের প্রাণকেন্দ্রের প্রায় পাঁচটি রাস্তা দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও বড়সড় ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি সাধারণ মানুষকে। তবে স্ট্র্যান্ড রোড, হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন বড়বাজার কিংবা হাওড়া স্টেশনের কাছে বিভিন্ন এলাকায় যানজটে পড়তে হয়েছে রাস্তায় বেরোনো সাধারণ মানুষকে। যানজটে থমকে গিয়েছে চিত্তরঞ্জনের অ্যাভিনিউ-এর যান চলাচল।

দুপুরে হাওড়া স্টেশন থেকে বাসে করে গড়িয়া পৌঁছতে প্রায় দু’ঘণ্টা লাগে এক দম্পতির। দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে পুলিশ বলেছে, ব্রেবোর্ন রোড বন্ধ থাকায় সব বাস হাওড়া ব্রিজের বদলে বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে স্ট্র্যান্ড রোড দিয়ে উভয়মুখী গাড়ি চলাচল করায় ওই রাস্তায় গাড়ির চাপ ছিল বেশি। বিজেপি সর্মথকেরা দুপুরে উত্তর বন্দর থানার সামনে পথ অবরোধ করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement

লালবাজার জানায়, বৃহস্পতিবার বিজেপির অভিযানকে কেন্দ্র করে রাস্তায় যানজট হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কারণ, বিজেপি সমর্থকেরা যাতে লালবাজার পৌঁছতে না পারেন তার জন্য কলকাতা পুলিশের সদর দফতর সংলগ্ন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিল। ফলে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, গণেশ অ্যাভিনিউ-এর মতো রাস্তা বেলা ১২টার পর থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। ধর্মতলা, কলেজ স্কোয়ার এবং হাওড়া স্টেশন থেকে মিছিল আসার ফলে বন্ধ হয়ে যায় ওই সব রাস্তায় যান চলাচল।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাস্তাগুলি বন্ধ থাকবে এটা ধরে নিয়েই বিকল্প পথ ভেবে রাখা হয়েছিল। যা এ দিন দুপুর থেকে কার্যকর করা হয়। ফলে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, স্ট্র্যান্ড রোড, হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন বড়বাজার কিংবা এনএস বসু রোডের যান চলাচল বিঘ্নিত হলেও শহরের বাকি রাস্তা ছিল মোটের উপর স্বাভাবিক।

লালবাজার সূত্রে খবর, ধর্মতলায় জমায়েত এবং মিছিলের জন্য বিভিন্ন গাড়িকে ডালহৌসি দিয়ে বড়বাজার হয়ে উত্তর কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। আবার যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউ থেকে আসা গাড়িকে ভূপেন বসু রোড হয়ে এপিসি রোড দিয়ে মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতায় পাঠানো হয়েছে।

লালবাজারের এক কর্তার কথায়, ‘‘এ দিন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি ও অফিসারদের নিয়ে আসা হয়েছিল বিজেপিকে আটকানোর জন্য। কিন্তু রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা এবং বিক্ষোভে সমর্থক কম থাকায় সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন