সেনা থেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক, ব্যবসায়ী থেকে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী— সকলেই তালিম নিচ্ছেন সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন, সরবরাহ এবং তা রক্ষণাবেক্ষণের। কেউ সীমান্ত রক্ষার কাজে চাইছেন সৌরশক্তির ব্যবহার করতে, কেউ বা বাড়িতেই বসাতে চান সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের প্যানেল। তাঁদের জন্যই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব এনার্জি স্টাডিজের উদ্যোগে শুরু হয়েছে সৌরবিদ্যুৎ সংক্রান্ত এক কর্মশালা।
স্কুল অব এনার্জি স্টাডিজের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বুধবার জানালেন, সেনাবাহিনীর থেকে তাঁদের আগেই সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন, সরবরাহের বিষয়ে বিশেষ কোর্স চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তা চালু করা আপাতত সম্ভব নয় বলে তাঁরা এই কর্মশালায় সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিদের পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই তিনসুকিয়া থেকে এসেছেন আদতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মেজর চেতন কোটকার। কর্মশালার কথা শুনে চলে এসেছেন আরও নানা ক্ষেত্রের মানুষজন। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক অমিতকুমার পাল যেমন জানালেন, ‘‘ফিজিওথেরাপির সময়ে সৌরবিদ্যুৎ কী ভাবে কাজে লাগানো যায়, তা শিখতেই এসেছি এখানে।’’ এসেছেন আরও অনেকেই, নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে সৌরশক্তিকে কাজে লাগানোর পদ্ধতিটা শিখে নিতে। অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহ দেখে বিশ্বজিৎবাবু এ দিন বলেন, ‘‘আরও এ রকম কর্মশালা ভবিষ্যতে করার ইচ্ছে আছে। সেনাবাহিনীর অনুরোধের কথা ভেবে ভবিষ্যতে আলাদা করে সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য কর্মশালার আয়োজনের পরিকল্পনাও রয়েছে আমাদের।’’