ফের চিকিৎসকের গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ উঠল ব্যারাকপুর বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে।
পুলিশ জানায়, পেট ব্যাথা ও বমি হওয়ায় সোমবার রাতে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গারুলিয়ার বাসিন্দা চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা রিনা দে-কে (২২)। রিনাদেবীর পরিজনদের অভিযোগ, সারা রাত যন্ত্রণায় ছটফট করলেও কোনও চিকিৎসক তাঁকে দেখেননি। এমনকী সেই সময়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক সঞ্জীব কর্মকারের কাছে গিয়ে রিনাদেবীকে দেখার অনুরোধ করলে তিনিও গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার ভোরে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। এর পরেই উত্তেজিত জনতা চড়াও হয় হাসপাতালের বহির্বিভাগে। টেবিল, চেয়ার ও জানলার কাচ ভাঙচুর করা হয়। টিটাগড় থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। রিনাদেবীর এক ভাই রাজীব দাস বলেন, ‘‘রাত থেকে ভোর পর্যন্ত একজন চিকিৎসক মিলল না গোটা হাসপাতালে। যিনি জরুরি বিভাগে ছিলেন তাঁকে বারবার অনুরোধ করলেও গুরুত্ব দিলেন না।’’
গত ২ নভেম্বর এই হাসপাতালেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন অর্চনা বিশ্বাস (৬২)। রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। তখনও অভিযোগ উঠেছিল চিকিৎসায় গাফিলতির। ঘটনাচক্রে সেদিনও দায়িত্বে ছিলেন সঞ্জীববাবু। উত্তেজিত জনতা তাঁর উপর চড়াও হয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। নিগৃহীত হন দুই নার্স ও ওই চিকিৎসক। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে এ বার হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষ ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে সঞ্জীববাবু অবশ্য বলেন, ‘‘পরিকাঠামো অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়েছি।’’