সল্টলেকের সাজে বেমানান ভাঙা ত্রিফলা

বিধাননগর পুর প্রশাসনের এ বিষয়ে হেলদোল নেই কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পুরসভার অন্দরমহলেই।

Advertisement

অনুপ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৭ ০১:১১
Share:

বেহাল: এমনই অবস্থা যুবভারতীর আশপাশের বহু ত্রিফলার। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলের উদ্বোধনে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনকে প্রস্তুত করতে সাজ সাজ রব রাজ্য সরকারের। ফিফা-র আয়োজিত বিশ্বমানের এই আসরকে মাতিয়ে রাখতে সেজে উঠেছে সল্টলেকের ওই স্টেডিয়াম। রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরও মাঠের সৌন্দর্যায়নে সজাগ। তবে এত প্রস্তুতির মধ্যেও নজর এড়িয়ে গিয়েছে ত্রিফলা আলোর অবস্থা। মাঠের চার পাশ আলোয় সেজে উঠলেও যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের এক নম্বর প্রবেশদ্বারের ১০০ মিটারের মধ্যে ডিভাইডারে থাকা ত্রিফলাগুলির হতশ্রী চেহারা বড়ই বেমানান। ওই গেট থেকে সল্টলেক ১৩ নম্বর ট্যাঙ্কের দিকে গেলেই চোখে পড়বে ত্রিফলাগুলি। তবে তার কোনওটায় আলো নেই। কোনওটা আবার ভেঙেচুরে ঝুলে রয়েছে। কয়েকটির শুধু ফলা রয়েছে। আর কিছুই নেই। বিধাননগর পুর প্রশাসনের এ বিষয়ে হেলদোল নেই কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পুরসভার অন্দরমহলেই।

Advertisement

কলকাতা বিশ্বকাপের দায়িত্ব পাওয়ায় গর্বিত রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও সব
সময়ে নজর রাখছেন যাতে স্টেডিয়ামটি আন্তজার্তিক স্তরের খেলার উপযোগী করে তোলা যায়। রাজ্যের ক্রীড়া
ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস
গত কয়েক মাসে শ’দুয়েকেরও বেশি বার গিয়েছেন মাঠ সাজানোর কাজকর্ম তদারকি করতে। নবান্ন সূত্রের
খবর, কলকাতা বিশ্বকাপের দায়িত্ব পাওয়ার পরই সরকারের শীর্ষমহলে একাধিক বার বৈঠক হয়েছে। সেখানে ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ, পূর্ত, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের পাশাপাশি বিধাননগর এবং কলকাতা পুরসভাকেও তৎপর হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এত কিছুর পরেও বিধাননগর পুরসভার নজর কেন ওই সব বাতিস্তম্ভের উপর পড়ল না, তা নিয়ে বিস্মিত নবান্নের একাধিক কর্তাও। ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের বিষয়। কলকাতা-সহ সারা রাজ্য জুড়ে ওই বাতিস্তম্ভ বসানো হয়েছে। সল্টলেকেও তা বসানো হয়েছে ২০১২ সাল থেকে। বিধাননগর পুরসভার এক অফিসারের কথায়, যুবভারতীতে বিশ্বকাপ হচ্ছে বলে সল্টলেকের বিভিন্ন ব্লকের রাস্তার পাশে ফুটপাথে থাকা বেআইনি গুমটি, চা, চপ-মুড়ির দোকান থেকে ছোট-খাটো দোকানগুলি তুলে দেওয়া হয়েছে মাসখানেক আগেই। তোলার সময়ে বলা হয়েছে, এখানে বিশ্বকাপ হচ্ছে। তাই শহরকে সুন্দর রাখতে এই আয়োজন। ১৩ নম্বর জলের ট্যাঙ্কের কাছে থাকা এক গুমটির মালিক বলেন, ‘‘আমাদের গুমটি তুলে দেওয়া হল সৌন্দর্যায়নের কথা বলে। আর ওই দেখুন ত্রিফলার হাল। ওটা কি ভাল দেখাচ্ছে?’’ রাতে ওই এলাকায় গিয়ে নজরে পড়ল, সোডিয়াম ভেপারের আলোতে কোনও মতে আড়াল হয়েছে ভাঙাচোরা ত্রিফলার দশা। শুধু ওই এলাকা নয়। সল্টলেক স্টেডিয়ামের কাছে অনিন্দিতা মোড়েও প্রায় লাইন দিয়ে রয়েছে বেহাল বাতিস্তম্ভ। গাছের আড়ালে কয়েকটি ঢাকা পড়েছে।

অথচ স্টেডিয়াম পাঁচিল লাগোয়া এলাকায় সৌন্দর্যায়ন, নতুন আলোর ব্যবহার চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। তা
দেখেই যুবকল্যাণ দফতরের এক অফিসারের বক্তব্য, ‘‘কোথায় ত্রুটি রয়েছে, তা দেখার জন্য চোখ চাই। রবিবার কলকাতায় বিশ্বকাপের প্রথম খেলা। তার আগেই এ সব ত্রুটি সংশোধন করে ফেলা দরকার।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন