—প্রতীকী চিত্র।
এলাকার দুই গোষ্ঠীতে গোলমাল। তার জেরে তৃণমূলের দলীয় অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল এক পক্ষের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে, দক্ষিণ বন্দর থানার দুর্গাপুর ফার্স্ট লেনে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই যুবককে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় মহম্মদ ইউনুস ওরফে লালবাবুর সঙ্গে খুরশিদ আহমেদের বিবাদ বহু দিনের। খুরশিদের একটি তেলেভাজার দোকান আছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, তেলেভাজার দোকানের আড়ালে মদ বিক্রি করেন খুরশিদের লোকজন। রবিবার লালবাবু ও তাঁর সঙ্গীরা মদ বিক্রিতে বাধা দিতে গেলে মারামারি বাধে। প্রথম দফায় থেমে গেলেও রাত ৯টা নাগাদ খুরশিদ দলবল নিয়ে লালবাবুর উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ লালবাবু-ঘনিষ্ঠ লোকনাথ কুমারের। মহিলাদেরও মারধর করা হয়। পুলিশ জেনেছে, ধৃত বুদ্ধ যাদব ও বিনোদ যাদব খুরশিদের ঘনিষ্ঠ।
লালবাবুর বক্তব্য, ‘‘খুরশিদ আগে তৃণমূল করত। এখন করে না। তৃণমূল করলে কেউ দলীয় অফিসে ভাঙচুর চালাবে না।’’ অন্য দিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ শুনে খুরশিদ বলেন, ‘‘পরে কথা বলব।’’ এর পরেই ফোন কেটে দেন তিনি। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজেরও উত্তর আসেনি।