প্রতীকী চিত্র।
বন্ধুর বাড়ি থেকে জিনিস হাতিয়ে ‘ওএলএক্স’-এ বেচে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী কয়েক হাজার টাকায় বেচে তা দিয়ে দামী রেস্তোরাঁয় ভুরিভোজ করেছে ওই দুই ছাত্র।
চুরির অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে শুক্রবার ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা মধ্য কলকাতার একটি নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃত পড়ুয়াদের শুক্রবার জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পাঠানো হয়। তাদের বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়েছে। পরে আবার হাজিরা দিতে হবে বলে পুলিশ সুত্রে খবর।
গত ৭ মার্চ কসবার বাসিন্দা এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তাঁরা যখন বাড়িতে ছিলেন না, সেই সময়ে তাঁর বাড়ি থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ, আইপড-সহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম চুরি যায়। অথচ বাড়ির মূল দরজা তালাবন্ধ ছিল। বাড়ির অন্য তালাও ভাঙা হয়নি।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, চুরি যাওয়া মোবাইল থেকে এক বারই একটি নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করা হয়। পরে সেই ফোনটি ঝোপে ফেলে দেওয়া হয়। সেই নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ ওই ব্যক্তির কাছে পৌঁছে জানতে পারে, সে দিন চুরি যাওয়া মোবাইল থেকে তাঁরই পরিচিত এক ছাত্র ফোন করে। এর পরে সেই ছাত্রের কাছে পৌঁছয় পুলিশ। এই ছাত্রের বাড়ি কসবায়। তাকে জেরা করে উঠে আসে দ্বিতীয় জনের নাম। তার বাড়ি বাঁশদ্রোণীতে।
আরও পড়ুন: ফেলে যাওয়া জিনিস খুঁজে পেতে উবেরের নতুন অ্যাপ
জেরায় পুলিশ জানতে পারে, যাঁর বাড়িতে চুরি হয়েছিল, তাঁর ছেলে ওই দুই ছাত্রেরই সহপাঠী। অভিযোগ, স্কুলের টিফিন টাইমে সহপাঠী বন্ধুর ব্যাগ খুলে, তার বাড়ির চাবি হাতিয়ে, সেই চাবির ‘নকল’ তৈরি করে রেখেছিল ওই দুই ছাত্র। সহপাঠীর কাছ থেকে আগেই তারা জেনেছিল যে, দুপুরে তাদের বাড়ি ফাঁকাই থাকে। সেই রকম একটি দিনে তারা ওই নকল চাবি দিয়ে বন্ধুর বাড়ির তালা খুলে কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম চুরি করে বেচে দেয় ‘ওএলএক্স’-এ। তদন্তকারীদের দাবি, মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের পাশাপাশি বিক্রি হওয়া সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে।
লালবাজারের এক কর্তা জানান, অভিযোগকারী এবং তাঁর স্ত্রী চাকরির জন্য সকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। নবম শ্রেণির পড়ুয়া ছেলের ব্যাগে একটি চাবি থাকে। সেই চাবিটিই চুরি করেই নকল বানিয়েছিল ওই দুই ছাত্র। ওই দুই অভিযুক্ত অভিযোগকারীদের বাড়িতে মাঝেমধ্যেই যেত। তাই তাদের জানাই ছিল, কোথায় কোন জিনিস রাখা থাকে বলে জানায় পুলিশ।