Behala

বেহালা শীলপাড়ায় তুবড়ি ফেটে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার দুই

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তুবড়িটি নিম্নমানের ছিল। সে কারণেই আগুন ধরাতে গিয়ে এই বিপত্তি ঘটেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:০৫
Share:

মৃত শিশু আদি দাস। —ফাইল চিত্র

বেহালার শীলপাড়ায় তুবড়ি ফেটে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফাতর হলেন বাজিবিক্রেতা বরুণ রায়। পেশায় মাছ ব্যবসায়ী বরুণ কালীপুজো উপলক্ষে বাজির দোকান দিয়েছিলেন। তাঁকে জেরা করে তুবড়ি প্রস্তুতকারক বিজয় সর্দারেরকেও গ্রেফতার করছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ।

Advertisement

রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ঠাকুরমা এবং পিসির সঙ্গে পাড়ায় বেরিয়েছিল আদি দাস। বিদ্যাসাগর কলোনি দিয়ে যাওয়ার সময় তুবড়ি ফেটে খোলের একাংশ ছিটকে আদির গলায় বিঁধে যায়। তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, পরিবারেরই এক সদস্য ওই তুবড়ি জ্বালিয়ে ছিলেন। তুবড়িতে আগুন দেওয়া হলেওপ্রথমে তা জ্বলেনি। পরে ফের আগুন ধরাতে গেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তুবড়িটি নিম্নমানের ছিল। সে কারণেই আগুন ধরাতে গিয়ে এই বিপত্তি ঘটেছে। ওই এলাকাতেই বাড়ি বরুণের। কালীপুজোর সময় প্রতিবছরই তিনি বাজির দোকান দেন। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাঁর কাছ থেকেই ওই তুবড়ি কেনা হয়েছিল বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে মৃত শিশুর পরিবার।

Advertisement

আরও পডু়ন: রাত বাড়তেই শব্দ-তাণ্ডব, জোড়া প্রাণ নিল তুবড়ি

আরও পডু়ন: এক ঘণ্টার অপারেশন বাগদাদি শেষ সুড়ঙ্গের প্রান্তে, কী ভাবে চলল মার্কিন সেনার অভিযান

রবিবারের ঘটনার পর পুলিশ ওই এলাকার একটি বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে। তা খতিয়ে দেখার পর জানা যায়, সন্ধ্যে সাড়ে ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছিল। বিদ্যাসাগর কলোনিতে স্থানীয় কয়েকজন বাজি পোড়াচ্ছিলেন। প্রথমে মশাল জ্বালানো হয়। তার পর আদির সঙ্গে থাকা এক আত্মীয় ওই তুবড়িতে আগুন দেন। তখনই আচমকা তুবড়ির খোল ফেটে গিয়ে ওই শিশুটির গলায় বিঁধে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ছিটকে পড়ে যায় আদি। আহত হয় আরও একজন। পুলিশ সূত্রে খবর, শিশুটির শ্বাসনালীতে গুরুতর আঘাত লাগায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনেও মামলা রুজু করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন