উদ্ধার হওয়া হাতির দাঁত। নিজস্ব চিত্র
হাতির দাঁত পাচার চক্রের এক পাণ্ডার খবর মিলল শহরে। সূত্রের খবর, আদতে সে প্রতিবেশী দেশ নেপালের বাসিন্দা।
দিন তিনেক আগে একটি মরা হাতির দাঁত পাচারের খবর এসে পৌঁছেছে ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইনটালিজেন্স (ডিআরআই)-এর কাছে। তবে কোথায়, কখন হাতিটিকে মারা হয়েছে, নিশ্চিত নন ডিআরআই অফিসারেরা। তাঁদের অনুমান, পাঁচ-ছ’মাস আগে অসম অথবা অরুণাচল প্রদেশের কোনও জঙ্গলে হাতিটিকে মেরে দাঁত কেটে নেওয়া হয়। তবে খবর আসে, হাতি মেরে দাঁত পাচারের পিছনে যে মাথা, তিনি নাকি বসে রয়েছেন কলকাতায়!
দিন তিনেক আগে, চোরাশিকারের সঙ্গে যুক্ত দুই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয় চোরাই দাঁত। গত শুক্রবার শিলিগুড়ির কাছে মাল্লাগুড়িতে ওই দু’জন ধরাও পড়ে। ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির দাঁত নেপালে পাচার হচ্ছে বলে তাঁদের কাছে খবর আসে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মাল্লাগুড়ির কাছে একটি ছোট বেসরকারি বাস আটকান অফিসারেরা। দেখা যায়, বাসচালকের আসনের নীচে একটি রুকস্যাক রয়েছে। সেই রুকস্যাকের উপরে জামাকাপড় থাকলেও নীচে রয়েছে একটি বড় প্যাকেট। সেই প্যাকেটের ভিতর থেকেই বেরিয়েছে তিন টুকরো হাতির দাঁত।
ডিআরআই সূত্রের খবর, দাঁতটি বড় কোনও সাবালক হাতির। ১২ কেজিরও বেশি ওজনের ওই দাঁতটি লম্বায় প্রায় তিন ফুট। সেটিকে রুকস্যাকের মধ্যে করে পাচার করার উদ্দেশ্যে কেটে তিন টুকরো করা হয়। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, অসমের লখিমপুর থেকে ওই দাঁত শিলিগুড়ি এনে নেপালে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ওই বেসরকারি বাস থেকে চালক ও অন্য এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ডিআরআই। বাসচালক সইফুল ইসলাম (৪৫)-এর বাড়ি অসমের লখিমপুরেই। অন্য জন, সন্তোষ প্রধান (৩৫) থাকেন শিলিগুড়িতে। ডিআরআই জানায়, দাঁতের দাম নির্ধারণ করা মুশকিল। বিদেশে সময় ভেদে দাম পরিবর্তন হয়।
ধৃত দু’জনকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ওই দুই ব্যক্তিকে জেরা করে উঠে এসেছে কলকাতার এক বাসিন্দার কথা, শহরে বসে চোরাচালানের চক্র চালাচ্ছেন। ঠিকানায় হানা দিয়ে অবশ্য তাঁর হদিস মেলেনি।