Kolkata Death

দক্ষিণ কলকাতার ফুটপাতে ঘুমন্ত ব্যক্তিকে খুন, অভিযুক্ত গ্রেফতার জয়নগর থেকে! কাশীপুরে মিলল অন্য এক যুবকের দেহ

শরৎ বোস রোডের ফুটপাতের উপর এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। তদন্তে নেমে পরে পুলিশ মৃতের পরিচয় জানতে পারেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৫ ১২:৪৪
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

একই দিনে কলকাতার দুই প্রান্তে জোড়া দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। দক্ষিণ কলকাতার শরৎ বোস রোডে এবং উত্তর কলকাতার কাশীপুরে দুই ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে শরৎ বোস রোডের ফুটপাতের উপর এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। ফুটপাতের উপর পরিত্যক্ত একটি কার্টেনের উপর দেহটি পড়ে ছিল। দেহের পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল রক্ত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় টালিগঞ্জ থানার পুলিশ।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মৃত ব্যক্তির নাম সোমনাথ চক্রবর্তী (২৮)। তাঁর শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। ওই ব্যক্তিকে এমআর বাঙুরে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ওই যুবকের দেহের পাশে রক্ত ছড়িয়েছিটিয়ে ছিল। শুধু তা-ই নয়, একটি পাথরের টুকরোও উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল এবং তার আশপাশের দোকান এবং রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তের খোঁজ মিলেছে।

Advertisement

পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই যুবককে ঘুমন্ত অবস্থায় খুন করা হয়েছে। পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাজু নস্করকে জয়নগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি গাড়ি ধোয়ার কাজ করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবক এবং অভিযুক্ত একে অপরের পরিচিত। পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। বিভিন্ন কারণে দু’জনের মধ্যে আগে থেকেই ঝামেলা লেগে ছিল।পুলিশের দাবি, ঘটনার ৯ ঘণ্টার মধ্য অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে সহযোগিতা করেছে হোমিসাইডও।

অন্য দিকে, কাশীপুরে এক বাড়ির নীচ থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয় মঙ্গলবার সকালে। ওই বাড়িতে কাজ চলছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই বহুতলের তিনতলা থেকে নীচে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ব্যক্তির। মৃতের নাম মিঠুন মণ্ডল (৩৭)। পেশায় তিনি একজন কলের মিস্ত্রি। আত্মহত্যা, না কি মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement