—প্রতীকী ছবি।
কলেজপড়ুয়া এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার তেঁতুলবেড়িয়ায়। মৃতার নাম উপমা গিরি (২২)। তিনি ওই এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। আদতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার বাগডাঙার বাসিন্দা উপমা প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে ঝগড়া করার পরেই মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান।
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে এক জন থানায় ফোন করে জানান, ওই কলেজছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারেন। সেই ফোন পেয়েই উপমার বাড়িতে ছুটে যায় পুলিশ। এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানলার ফাঁক দিয়ে দেখি, ওই ছাত্রীর দেহ ঝুলছে।’’ প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর সঙ্গে এক জনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু সম্প্রতি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ওই রাতে প্রেমিককে ফোন করে উপমা জানান, তিনি আত্মঘাতী হচ্ছেন। তার পরে সেই প্রেমিক ফোন করে বিষয়টি থানায় জানান। তবে ওই ছাত্রীর ঘরে সুইসাইড নোট মেলেনি। মৃতার প্রেমিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বারুইপুর থানার পেটুয়া গ্রামে নিজের ঘর থেকে সুলতা সর্দার (২২) নামে আর এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুলতা কলকাতার একটি কলেজের স্নাতক স্তরে তৃতীয় বর্ষে পড়তেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার বাঁ হাতে পেন দিয়ে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। পরিবার সূত্রের খবর, সব সময়েই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন সুলতা। কয়েক দিন আগে তা নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে মনোমালিন্যও হয়েছিল তাঁর। তার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। পুলিশের ধারণা, এটি আত্মহত্যা।