বেনিয়াপুকুরে ব্যবসায়ী খুনে আরও তিন’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত শুক্রবার নুর মহম্মদ নামে ওই ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। এই ঘটনায় রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ সালাউদ্দিন নামে এক যুবককে। সোমবার সকালে ওয়াটগঞ্জ থেকে যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নাম খুরশিদ আলম ওরফে চিন্টু এবং শেখ মইউদ্দিন ওরফে রাজ। পুলিশ সূত্রের খবর, রাজই গুলি করে মারে নুর নামে ওই ব্যবসায়ীকে। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
তৃণমূল ঘনিষ্ঠ মহম্মদ নুরের খুনের ঘটনায় পুলিশ শনিবারই গ্রেফতার করে বছর ৩৭-র মহম্মদ আফতার ওরফে কেলোকে। পুলিশ সূত্রের খবর, কেলো ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় নূরকে। ঘটনাস্থলে ছিল কেলো ও তাঁর বন্ধু শাফিক। এরপরই সালাউদ্দিনের ভাড়া করা দুই বন্ধু রাজ ও চিন্টু বাইকে করে এসে খুন করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে কেলো ও সাফিককে আটক করে পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ শামিম ওরফে কেলোকে।
আরও খবর
‘চড়ের বদলা’য় ব্যবসায়ীকে খুন
পুলিশকে জেরায় কেলো জানায়, বান্টি নামে এক ব্যবসায়ীকে কেলো দেড় লক্ষ টাকা ধার দেয় কেলো। সেই ব্যবসায়ী ধার শোধ করতে গেলে কেলো তাঁকে তিন লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলে। বচসা শুরু হয় দু’জনের মধ্যে। নুর সেই ঘটনার মীমাংসা করতে গেলে তিনি সবার সামনে কেলোকে চড় মারেন। সেই প্রতিহিংসায় কেলো যোগাযোগ করে সালাউদ্দিনের সঙ্গে। তার জেরেই খুন বলে মনে করছে পুলিশ।
কে এই মহম্মদ সালাউদ্দিন?
সূত্রের খবর, মহম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে পুরানো শত্রুতা ছিল নুরের। ২০১০ সালে মহম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হয়। সেই ঝামেলায় নুরের পরিবারের কয়েক জন গ্রেফতার হয়। সেই থেকেই এলাকা দখল নিয়ে সালাউদ্দিনের সঙ্গে ঝামেলা ছিল নূরের। সে কথা ভালভাবেই জানত কেলো। প্রতিশোধ তুলতে কেলো দ্বারস্থ হয় নুরের শত্রু সালাউদ্দিনের। সালাউদ্দিনের ওয়াটগঞ্জ থেকে বন্ধুদের ভাড়া করে খুন করে নূরকে। রবিবার রাতে মহম্মদ সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সালাউদ্দিনের বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা একটি ছ’ঘরার রিভলভার, কিছু কার্তুজ, ছুরি এবং দু’টি চপার এবং ফ্ল্যাশার।