Arrest

স্ত্রীকে জোর করে রিহ্যাবে পাঠানোর চেষ্টায় জেল হেফাজত স্বামী-সহ দু’জনের 

পুলিশি হস্তক্ষেপে তাঁরা ওই প্রৌঢ়াকে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় নামিয়ে দিয়ে গেলেও এই ঘটনায় প্রৌঢ়ার স্বামী ও তাঁর সহকারী এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৩ ০৬:২৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

স্ত্রীকে জোর করে রিহ্যাবে পাঠানোর চেষ্টার অভিযোগে ধৃত স্বামী-সহ দু’জনকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল বিধাননগর এসিজেএম আদালত।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার সকালে সল্টলেকের আইএ ব্লকের একটি বাড়ি থেকে ওই প্রৌঢ়াকে জোর করে রিহ্যাবে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। প্রৌঢ়া অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে মারতে মারতে বাড়ির ছাদ থেকে নামিয়ে গাড়িতে তোলেন রিহ্যাব কেন্দ্রের কর্মীরা। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে তাঁরা ওই প্রৌঢ়াকে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় নামিয়ে দিয়ে গেলেও এই ঘটনায় প্রৌঢ়ার স্বামী ও তাঁর সহকারী এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চার দিনের পুলিশি হেফাজত শেষে সোমবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হলে বিচারক জেল হেফাজত দেন।

পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় অপহরণ ও যৌন হেনস্থার অভিযোগে সুমন পাল নামে রিহ্যাবের এক কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগে প্রৌঢ়া পুলিশকে জানিয়েছিলেন, পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে তাঁকে তাঁর স্বামী মনোরোগী প্রতিপন্ন করতে রিহ্যাবে পাঠানোর ছক কষেছেন। বাড়ির ছাদে পায়চারি করার সময়ে কী ভাবে তাঁকে জোর করে রিহ্যাবের লোকজন এসে তুলে নিয়ে যান, সে কথাও পুলিশকে জানান প্রৌঢ়া।

Advertisement

এ দিন আদালতে প্রৌঢ়ার স্বামীর জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী অভিষেক মুখোপাধ্যায়। পরে তিনি বলেন, ‘‘আমার মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন না। মক্কেলের স্ত্রী মানসিক ভাবে অসুস্থ। অতীতে তিনি বাড়ির মিটার ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। স্বামীর হাতে ছুরি দিয়ে আঘাতও করেছিলেন। আমার মক্কেলের ছেলেরা মায়ের চিকিৎসার জন্য রিহ্যাব কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেখানকার কর্মীরা যে ওই ভাবে প্রৌঢ়ার উপরে বলপ্রয়োগ করবেন, সেটা তাঁরা বুঝতে পারেননি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন