রান্নাঘরে গ্যাস লিক করে আগুন লেগেছিল একটি বাড়িতে। অনেকটা এলাকায় তা ছড়িয়ে পড়ার উপক্রমও হয়েছিল। বাঁচিয়ে দিলেন পাড়ারই এক জন। সোমবার বাঘা যতীনের কাছে শ্রীকলোনিতে এই ঘটনায় জখম হয়েছেন দুই মহিলা। এক জন হাসপাতালে ভর্তি।
গলির গলি, তস্য গলি ওই জায়গা। তার উপরে কলোনির জমিতে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে তৈরি হওয়া বাড়ি। এমন জায়গায় আগুন লাগলে দ্রুত ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। তা আটকালেন পাড়ারই এক জন। অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্রের ব্যবসা আছে তাঁর। বাড়িতে মজুত যন্ত্র থেকে ফোম স্প্রে করে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিলেন তিনিই। পরে পৌঁছয় দমকল।
ওই কলোনিতে বহু ছোট বাড়ি ভেঙে বহুতল হয়েছে। আবার টিন বা টালির চাল দেওয়া পাকা বাড়িও আছে। তেমনই একটি একতলা বাড়িতে এ দিন আগুন লাগে। সকালে গৃহকর্তা স্বপন দাস ছেলে সৌমেনের সঙ্গে ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন। তখন স্বপনবাবুর স্ত্রী মঙ্গলাদেবী রান্নাঘরে চা করতে যান। কোনও ভাবেই গ্যাসের আভেন জ্বলছিল না। তাই প্রতিবেশী জলি দে-কে ডাকেন তিনি। জলিদেবী বলেন, ‘‘গিয়ে দেখি, সিলিন্ডারের রেগুলেটরের মুখ থেকে সোঁ সোঁ শব্দ হচ্ছে। রেগুলেটরটা চেপে দিই। রান্নাঘর থেকে বেরোতেই প্রচণ্ড জোরে কিছু ফাটার শব্দ হয়। দেখি, আগুনের হলকায় ফেটে গিয়েছে রান্নাঘরের চালের অনেকটা অংশ। রান্নাঘরে জ্বলন্ত অবস্থায় মঙ্গলা চিৎকার করছে।’’ মঙ্গলা দাসকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন জলিদেবীও। তাঁর হাত-পা-মুখের কিছু অংশ ঝলসে গিয়েছে। মঙ্গলাদেবী বাঙুরে ভর্তি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শরীরের প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রদ্যোৎ চক্রবর্তীর অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র সরবরাহের ব্যবসা। তাঁকে খবর দেওয়া হয়। প্রদ্যোৎবাবুর কথায়, ‘‘আগুন তখন প্রায় দোতলা বাড়ির সমান। বার চারেক ফোম দিয়ে দেখি আগুন কমে গেল।’’ এর পরে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ দিকে, রবিবার তিলজলা রোডের রবি দাস পার্কে বেলুনে গ্যাস ভরার সময়ে সিলিন্ডার ফেটে তিন নাবালক জখম হয়। আহত হয়েছেন বেলুন বিক্রেতাও। জখম চার জনের মধ্যে দু’জন হাসপাতালে ভর্তি। আবার রবিবার বেশি রাত ফোর্ট উইলিয়মের ভিতরে একটি গুদামে আগুন লাগে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।