নারী দিবসের সভার পথে জোড়া দুর্ঘটনা

সকালে বাগুইআটি-ভিআইপি রোড। বিকেলে হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় তৃণমূলের নারী দিবসের সভায় যাওয়া এবং ফেরার পথে ঘটে গেল দু’টি দুর্ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৮ ০১:৪৫
Share:

সকালে বাগুইআটি-ভিআইপি রোড। বিকেলে হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় তৃণমূলের নারী দিবসের সভায় যাওয়া এবং ফেরার পথে ঘটে গেল দু’টি দুর্ঘটনা। কৈখালি ট্র্যাফিক গার্ড সংলগ্ন ভিআইপি রোডের দুর্ঘটনায় জখম হলেন দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ তথা এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রিঙ্কু দত্ত দে-সহ অন্তত ১৭ জন। কোনা এক্সপ্রেসওয়ের দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা অন্তত ৩০ জন।

Advertisement

এ দিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ ওয়ার্ডের ৫৫ জন মহিলা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে একটি মিনিবাসে ধর্মতলা রওনা হন রিঙ্কু। পথে কৈখালি ট্র্যাফিক গার্ডের কাছে উড়ালপুলের নীচে যে সিগন্যাল রয়েছে, সেখানে একটি অ্যাপ-ক্যাবের পিছনে ধাক্কা মারে মিনিবাসটি। চেয়ারম্যান পারিষদের বাঁ কনুইয়ে চোট লাগে। কারও নাক ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। স্বপ্না সাহা এবং ঝুমা সাহা নামের দুই মহিলা দমদম পুর হাসপাতালে ভর্তি। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সভা শেষে বিকেল তিনটে নাগাদ কোনা এক্সপ্রেসওয়ের গরফা রেল সেতুর কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তৃণমূল সমর্থকদের আরও একটি বাস। আহতেরা বর্ধমানের রায়নার শ্যামসুন্দর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই বাসে ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। গরফা রেল সেতুর ট্র্যাফিক সিগন্যালে একটি ছোট গাড়ি আচমকা দাঁড়িয়ে পড়লে, বাসটি সজোরে তার পিছনে ধাক্কা মারে। যার জেরে বাসের যাত্রীরা ছিটকে পড়েন। তাঁদের কারও মুখ-মাথা-ঠোঁট ফেটে যায়। এমনকী হাতে-পায়ে-বুকেও চোট লাগে। আহতদের চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দা এবং পথচারীরা ছুটে আসেন। কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ট্র্যাফিক গার্ডের চেষ্টায় আহতদের দ্রুত হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

ভিআইপি রোডের দুর্ঘটনার কারণ প্রসঙ্গে উঠে আসছে দু’রকম মত। বিধাননগর ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, সিগন্যালে দাঁড়িয়েছিল অ্যাপ-ক্যাবটি। মিনিবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ক্যাবের পিছনে ধাক্কা মারে। যদিও রিঙ্কুদেবী বলেন, ‘‘অ্যাপ-ক্যাবটি পাশ কাটিয়ে মিনিবাসের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ায় চালককে ব্রেক কষতে হয়।’’ চালকের তৎপরতার জন্যই বড় অঘটন ঘটেনি বলে তাঁর মত। দুর্ঘটনার পরে যখন জখম মহিলারা যন্ত্রণায় ছটফট করছেন, তখন ক্যাবচালক তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে দাবি রিঙ্কুদেবীর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পুর প্রধান হরীন্দ্র সিংহ এবং ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট। তাঁদের তৎপরতায় সকলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন