ইস্তফা ফিরিয়ে নিলেন ২ শিক্ষক

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ক্ষমা চাওয়ায় বৃহস্পতিবার পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করলেন কলা ও বাণিজ্য বিভাগের সচিব মৌ দাশগুপ্ত এবং বাংলার বিভাগীয় প্রধান সনৎ নস্কর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৩৬
Share:

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ক্ষমা চাওয়ায় বৃহস্পতিবার পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করলেন কলা ও বাণিজ্য বিভাগের সচিব মৌ দাশগুপ্ত এবং বাংলার বিভাগীয় প্রধান সনৎ নস্কর।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, সম্প্রতি রবীন্দ্রজয়ন্তীর জন্য পড়ুয়াদের থেকে চাঁদা তোলা নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর দুই গোষ্ঠীর বিবাদ সামনে আসে। বিরোধ মেটাতে মঙ্গলবার দুই গোষ্ঠীকে নিয়ে ছাত্র-শিক্ষক বৈঠকে বসেন মৌদেবী এবং সনৎবাবু। কিন্তু অভিযোগ, সেই বৈঠকে ছাত্র সংসদের ক্ষমতাসীন শিবিরের বিরোধী কাইয়ুম গোষ্ঠীর ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হয়ে পদত্যাগ করেন মৌদেবী। বুধবার পদত্যাগ পত্র জমা দেন সনৎবাবুও।

এর পরেই বৃহস্পতিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিবদমান দুই গোষ্ঠী এবং দুই শিক্ষককে নিয়ে বৈঠকে বসেন উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ। সনৎবাবু জানিয়েছেন, সেখানেই আব্দুল কাইয়ুম মোল্লা ক্ষমা চান।
যদিও তাঁর ক্ষমা চাওয়ার পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। ধমকের সুরে উপাচার্য তা শুধরে দেওয়ায় ফের সকলের হয়ে ক্ষমা চান কাইয়ুম।

Advertisement

তার পরে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করেন মৌদেবী এবং সনৎবাবু। সনৎবাবু বলেন, ‘‘ছাত্র সংসদের দুই গোষ্ঠীর বিবাদে শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে। উপাচার্য জানিয়েছেন অবস্থা পাল্টাবে।
ছাত্ররাও ক্ষমা চেয়েছে।’’

মৌদেবী এ দিন বৈঠকের পরে বলেন, ‘‘যে সব সমস্যা হয়েছিল, কর্তৃপক্ষ মিটিয়ে দিয়েছেন। তাই আমি পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করলাম।’’ উপাচার্যের কথায়, ‘‘ছাত্ররা ক্ষমা চেয়েছে। সমস্যাও মিটে গিয়েছে।’’ তবে কাইয়ুম এ দিনও বলেছেন, ‘‘কেউ আমার কথায় আঘাত পেয়ে থাকলে আমি দুঃখিত। কিন্তু পড়ুয়াদের স্বার্থে বারবার আন্দোলন করব। তাতে কারও খারাপ লাগলে আবার ক্ষমা চাইব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement