dog

কুকুর খুনে যোগ নেই, তবু সোশ্যাল সাইটে ছবি দিয়ে দুই তরুণীকে পিটিয়ে মারার হুমকি!

ঘটনাচক্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে তাঁদের মুখ। ভাইরাল ভিডিয়োর সঙ্গেই ফেসবুক থেকে ওই দুই তরুণীর ছবি কেউ বা কারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আপলোড করে দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:১৪
Share:

খুন হওয়া কুকুর ছানারা। নিজস্ব চিত্র।

নীলরতন সরকার হাসপাতালে কুকুরছানা খুনের ঘটনায় দু’জনের কোনও যোগ নেই। দু’জনেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে নার্সিংয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাঁদের একজন ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে কর্মরত। অন্যজন রায়গঞ্জ হাসপাতালে সিস্টারইন-চার্জ।

Advertisement

কুকুরছানা খুনের ঘটনায় তাঁদের কোনও হাত না থাকলেও, ঘটনাচক্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে তাঁদের মুখ। ভাইরাল ভিডিয়োর সঙ্গেই ফেসবুক থেকে ওই দুই তরুণীর ছবি কেউ বা কারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আপলোড করে দিয়েছে।

এখন তাঁদের অনেকেই ওই ১৬টি কুকুরছানা খুনের অভিযুক্ত বলে ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে। বিষয়টি এখানেই থেমে নেই। ওই দুই তরুণীকে ‘কুকুরের মতো পিটিয়ে’ মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কারণ, ছবির পাশাপাশি, তাঁদের ফোন নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল সাইটে।

Advertisement

(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)

আরও পড়ুন: কুকুর খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজনরা চিহ্নিত, তিন ছাত্রীকে জেরা পুলিশের, চলছে বিক্ষোভ

এই বিষয়টি এতটাই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে যে, ওই দু’জনেরআত্মীয়-পরিজনেরাও এখন তাঁদের সন্দেহের চোখে দেখছেন বলে ওই দুই মহিলার অভিযোগ। ফলে সামাজিক পরিচিতি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি এখন আতঙ্কে ভুগছেন দু’জনেই।

মঙ্গলবার বাধ্য হয়ে তাঁরা পুলিশে অভিযোগ করেছেন। একজন মগরাহাট থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন, যেহেতু তাঁর বাড়ি ওই এলাকাতেই। অন্য জন রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়াও লালবাজারের সাইবার ক্রাইম শাখাতেও অভিযোগ জানানো হয়েছে।

মগরাহাটের বাসিন্দা ওই তরুণীর স্বামী আব্দুর রহমান এদিন লালবাজারে পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর কথায়:“এই ঘটনার সঙ্গে আমার স্ত্রী জড়িত নয়। এমনকি, তাঁর বন্ধুও জড়িত নয়। ইচ্ছে করেই দু’জনের ছবি দিয়ে আমাদের সামাজিক পরিচিতি নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। এমনকি, খুনের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: পিটিয়েই খুন কুকুর, প্রশ্নের মুখে ছয়

একই অভিযোগ রায়গঞ্জের ওই তরুণীরও। তিনি ফোনে বলেন, “আমি আতঙ্কিত হয়ে রয়েছি। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। যে বা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের অবিলম্বে সাজা হওয়া উচিত।”

(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনার বাছাই করা বাংলা খবর পড়তে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন