তোলা হচ্ছে বিকাশের দেহ। শুক্রবার, ছোটেলাল ঘাটে। ছবি: শুভেন্দু দাস
রং খেলার পরে গঙ্গায় স্নান করতে নেমে যাতে কেউ তলিয়ে না যান, তার জন্য শহরের দু’টি ঘাটে জাল লাগিয়েছিল কলকাতা রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ। আহিরীটোলা ও নাটেরবাগানের ওই দুই ঘাটে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটলেও শহরের অন্য দুই ঘাটে অবশ্য তলিয়ে গেলেন দুই যুবক। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, সব ক’টি ঘাটে কেন জাল লাগাতে পারল না পুলিশ?
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেল সওয়া চারটে নাগাদ হোলি খেলার পরে মল্লিকঘাট সংলগ্ন ছোটেলাল ঘাটে দুই বন্ধুর সঙ্গে স্নান করতে নেমেছিলেন বিকাশকুমার যাদব (২৬)। জলে নামার পরেই তলিয়ে যান তিনি। উত্তর বন্দর থানায় খবর দেওয়া হলে রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ এসে ডুবুরি নামিয়ে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, রূপচাঁদ দত্ত স্ট্রিটের বাসিন্দা বিকাশ সাঁতার জানতেন না। উদ্ধারের পরে দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
অন্য দিকে, শ্যামপুকুরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ ঘোষ (৩৪) এ দিন রং খেলার পরে বাগবাজার ঘাটে স্নান করতে নেমেছিলেন। তিনিও একই ভাবে তলিয়ে যান। ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালিয়েও এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। পুলিশের অনুমান, বিশ্বজিৎ মত্ত অবস্থায় জলে নেমেছিলেন।
ঘাটে জাল লাগানো নিয়ে কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘পরীক্ষামূলক ভাবে দু’টি ঘাটে জাল লাগানো হয়েছিল। সব ঘাটে লাগানো হবে, এমন কোনও নির্দেশ ছিল না।’’