কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে রয়েছে প্রায় ১২ লক্ষ বই।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় আগেই করেছিল। এ বার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বসাধারণের জন্যে খুলে দিতে চলেছে তাদের গ্রন্থাগার। ফলে বিপুল বইয়ের সম্ভার এ বার সকলের নাগালে আসবে। পরিচয়পত্র দেখিয়ে যে কেউ তা পড়ার সুযোগ পাবেন। শুধু কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের ১১ তলায় ছড়ানো কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার নয়, অন্য সাতটি ক্যাম্পাসের গ্রন্থাগারও একই সঙ্গে সকলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে রয়েছে প্রায় ১২ লক্ষ বই। ২০০ বছরের বেশি পুরনো এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহু দুষ্প্রাপ্য বই রয়েছে। ডিজিটাল বইয়ের সংখ্যাও প্রচুর। সকলের কথা ভেবে গ্রন্থাগারে গল্প, উপন্যাস থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বইও রাখা আছে। আগে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরাই শুধু কারণ জানিয়ে যথাযথ তথ্যপ্রমাণ জমা দিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গ্রন্থাগার ব্যবহার করতে পারতেন। যে কোনও বইয়ের একাধিক কপি বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে মিলবে। তবে এই গ্রন্থাগার থেকে বই বাড়ি নিয়ে যাওয়ার নিয়ম আপাতত থাকছে না বলে জানাচ্ছেন এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক। তবে প্রয়োজনে বইয়ের কপি করা যাবে। ডিজিটাল বইয়ের ক্ষেত্রেও প্রিন্ট আউট নেওয়া যাবে। তিনি জানান, আপাতত বইয়ের ক্যাটালগ তৈরি ও প্রসেসিংয়ের কাজ চলছে।
২০১৬ সাল থেকে প্রেসিডেন্সিতে সকলের জন্য গ্রন্থাগার খুলে দেওয়া হয়েছে। ওই গ্রন্থাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক অরবিন্দ নায়েক শনিবার জানালেন, এখানেও পরিচয়পত্র দেখিয়ে সবার জন্য বই, ই-জার্নাল, ই-বই পড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে এখান থেকে বই বাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়। এ জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে সাময়িক ভাবে গ্রন্থাগারের সদস্য হতে হয়। সে জন্য চাঁদাও দিতে হয়। যদিও গ্রন্থাগারে বসে পড়াশোনা করাতেই তাঁরা উৎসাহ দেন বলে তিনি জানান।