State news

কলকাতায় ফের এক বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু

মৃতের নাম রূপালি দাস (১৬)। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ওই কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সকালে খুনের অভিযোগে তাঁর স্বামী এবং শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৭ ১৬:৪৬
Share:

রূপালি দাস।

ফের নির্যাতন করে বধূ খুনের অভিযোগ সামনে এল। এ বারের ঘটনাটি ঘটেছে ফুলবাগান থানার শ্রীকৃষ্ণ দাস লেনে। শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে এক কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের নাম রূপালি দাস (১৬)। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

ওই কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সকালে খুনের অভিযোগে তাঁর স্বামী এবং শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা হলেন মণীশ দাস এবং শিপ্রা দাস।

পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রীকৃষ্ণ দাস লেনের বস্তিতে থাকতেন রূপালি। তাঁর শ্বশুরবাড়ি আর বাপেরবাড়ি পাশাপাশি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মণীশের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন রূপালি। মণীশ একটি বেসরকারি সংস্থায় ডেলিভারি বয়ের কাজ করতেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাঁর জীবন পাল্টে যায়। কিশোরীর বাবা কিশোরচন্দ্র সাউয়ের অভিযোগ, বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই তাঁর উপর নির্যাতন শুরু করে দেন মনীশ ও তাঁর মা শিপ্রা। রূপালি মাঝে মধ্যেই বাপের বাড়িতে গিয়ে তাঁর উপর নির্যাতনের কথা জানাতেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বার ‘আত্মহত্যা’, অভিযুক্ত শ্বশুরবাড়ি

শুক্রবার গভীর রাতে আচমকাই শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোনে কিশোরচন্দ্রকে জানানো হয়, তাঁর মেয়ের শরীর ভাল নেই। শুয়ে শুয়ে জল খেতে গিয়ে কোনও ভাবে শ্বাসনালীতে জল ঢুকে যায়। মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে তিনি দেখেন রূপালি অচেতন হয়ে পড়ে রয়েছেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এর পরেই কিশোরচন্দ্র ফুলবাগান থানায় মণীশ ও তাঁর মা শিপ্রার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।

সত্যিই জল খেতে গিয়ে রূপালির মৃত্যু হয়ে নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে, তা এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট হয়নি। মণীশ এবং তাঁর মা শিপ্রাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ বড়তলা থানা এলাকার হরীতকী বাগান লেনের একটি বাড়ি থেকে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় (২৩) নামে এক বধূর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দোতলার ঘরের খাটে গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় তাঁকে পাওয়া যায়। দিন কয়েক আগেই দমদম এবং মধ্যমগ্রামে পরপর বধূ-মৃত্যুর ঘটনায় শিউরে উঠেছিলেন শহরবাসী। সে ক্ষেত্রেও অভিযোগের আঙুল উঠেছিল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। তার পরেই এই ঘটনা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন