তারের জটে ঢেকেছে শহর

বাগড়ি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের দাবি, সমস্যাটা সারা শহরের হলেও বড়বাজারে তা গুরুতর। ওই এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে বিপজ্জনক ভাবে কেব্‌ল তার ঝুলছে। কোথাও পড়ে রয়েছে ফুটপাতে। সে সব সরাতে কলকাতার পুরসভার তরফে একাধিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৯ ০০:৪৮
Share:

কুণ্ডলী: নাগালে বিপদ। মহাত্মা গাঁধী রোডের উপরে । ছবি: রণজিৎ নন্দী

কেব্‌ল তারের জটে শহর ছেয়েছে বহু দিন। কিন্তু এর জেরে যে দিন দিন সমস্যা বাড়ছে, তার সাম্প্রতিক ছবি উঠে এসেছিল গত সেপ্টেম্বরের বাগড়ি মার্কেট অগ্নিকাণ্ডের পরে। অভিযোগ উঠেছিল, দমকল সে বার অগ্নিনির্বাপণের কাজে যান্ত্রিক সিঁড়ি (ল্যাডার) ব্যবহার করতে চেয়েও পারেনি। সেই বাধার মূল কারণ ছিল কেব্‌ল সংযোগের তারের জট।

Advertisement

বাগড়ি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের দাবি, সমস্যাটা সারা শহরের হলেও বড়বাজারে তা গুরুতর। ওই এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে বিপজ্জনক ভাবে কেব্‌ল তার ঝুলছে। কোথাও পড়ে রয়েছে ফুটপাতে। সে সব সরাতে কলকাতার পুরসভার তরফে একাধিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের।

যত্রতত্র কেব্‌লের জটের এই চিত্র মিলবে বড়বাজার, পোস্তা, বড়তলা, শোভাবাজার, শ্যামবাজার, হাতিবাগান-সহ উত্তরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। কোথাও নিচু হয়ে ঝুলতে থাকা তারের জট, কোথাও বাতিস্তম্ভের সঙ্গে কেব্‌ল পাকিয়ে রয়েছে কুণ্ডলী অবস্থায়, কোথাও ফুটপাতের উপরেই ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে কেব্‌ল তার। এ সবের জেরে চলাফেরা করতে সমস্যায় পড়ছেন পথচারীরা। কেব্‌ল তারের ফাঁড়া কাটাতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুর ভবনে বৈঠক করেছিলেন। বলা হয়েছিল, পরিত্যক্ত কেব্‌ল তার সাত দিনে সরাতে হবে। সেই নির্দেশ যে মানাই হয়নি, তা বোঝা যায় উত্তরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরলেই।

Advertisement

ডালহৌসি চত্বর, বড়বাজার, লালবাজারের আশপাশে কেব্‌ল তারের ছড়াছড়ি। শহরের মাল্টি সার্ভিস অপারেটরদের (এমএসও) অবশ্য দাবি, পরিত্যক্ত কেব্‌লের তার রাস্তায় পড়ে থাকলে অপারেটরের কর্মীরা তা সরিয়ে দেন। তবু যে তারের জট থেকে শহরকে যে মুক্ত করা যায়নি, তা মানছেন শহরের একটি এমএসও-র কর্তা সুরেশ শেঠিয়া। তাঁর কথায়, ‘‘মাটির নীচ দিয়ে সব কেব্‌ল তার নিয়ে গেলে সমস্যা মিটবে। ভোটের জন্য সে কাজ বন্ধ ছিল।’’

এ প্রসঙ্গে ডিসি (ট্র্যাফিক) সন্তোষ পাণ্ডেকে ফোন করা হলে তিনি তা ধরেননি, মেসেজেরও উত্তর দেননি। মেয়রের আশ্বাস, “ভোটের জন্য শহরকে তারের জটমুক্ত করার প্রক্রিয়া থমকে ছিল। এ বার সে কাজে গতি আসবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement