—প্রতীকী ছবি
সম্পত্তির পুনর্মূল্যায়নে সব থেকে জরুরি জমি-বাড়ির সঠিক মাপজোক। কিন্তু অনেক সময়েই এই কাজে রাজনৈতিক প্রভাব, স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠে। আবার অনভিজ্ঞ কর্মীদের দিয়ে কাজের ফলে ভুলের সম্ভাবনাও থাকে। এ বার তাই বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন শিল্পমন্দির পলিটেকনিক কলেজের সাহায্য নিল উত্তরপাড়া পুরসভা।
ওই কলেজের সদ্য পাশ করা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারেরাই এ বার উত্তরপাড়ায় সম্পত্তির মাপজোক করবেন। এই কাজে কলেজ কর্তৃপক্ষই ২০ জন ছাত্রকে বাছাই করেছেন। কী ভাবে মাপজোক করে তার রিপোর্ট লিখতে হয়, বৃহস্পতিবার তাঁদের সেই প্রশিক্ষণ দিলেন পশ্চিমবঙ্গ মূল্যায়ন পর্ষদের আধিকারিকেরা। ওই আধিকারিকদের মতে, অনেক পুরসভাই সম্পত্তির মাপজোকের জন্য কোনও বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়। অনেকে নিজেরাই কর্মী নেয়। তাতে অনেক সময়েই বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। দেখা যায়, ভুল মাপজোকের ফলে কারও কর বেড়ে গিয়েছে, কারও আবার অনেক কম।
মূল্যায়ন পর্ষদের আধিকারিক মিরাজ চৌধুরী জানান, শীঘ্রই উত্তরপাড়া পুরসভায় সম্পত্তি পুনর্মূল্যায়নের কাজ হবে। বাড়ি, ফাঁকা জমি, কারখানা ও আবাসনে মাপজোক করার পরেই মূল্যায়ন পর্ষদ ফের কর নির্ধারণ করবে। পুর চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব জানান, তিনি চাইছেন, মাপজোক ত্রুটিমুক্ত হোক ও এতে স্বজনপোষণ বা প্রভাব খাটানো যেন না ঘটে। দিলীপবাবু বলেন, ‘‘সদ্য পাশ করা ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে মাপজোক করালে ভুলের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এঁরা অপরিচিত মুখ হওয়ায় কারও দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কাও কম।’’ এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘দিলীপবাবু খুব ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’