নিশ্ছিদ্র: প্রজাতন্ত্র দিবসের এক দিন আগে রেড রোডে পাহারা। বৃহস্পতিবার রাতে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
আসন্ন প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য রেড রোড সংলগ্ন অঞ্চলকে ১৮টি জোনে ভাগ করে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি জোনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন এক জন করে ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশকর্মী। ওই ১৮টি জোনকে আবার ১২৫টি সেক্টরে ভাগে করে সেখানে এক জন করে অফিসারকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরণ এ অ্যালুমিনিয়ামের ক্যান ভর্তি বিস্ফোরক উদ্ধারের পরে প্রজাতন্ত্র দিবসের নিরাপত্তায় ফাঁক রাখতে চাইছেন না পুলিশকর্তারা। ওই দিনের নিরাপত্তা নিয়ে বুধবার পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার।
পুলিশ জানায়, কুচকাওয়াজ চলাকালীন রেড রোডের নিরাপত্তার দায়িত্বে ডেপুটি কমিশনারদের পাশাপাশি মোতায়েন থাকবেন প্রায় তিন হাজার পুলিশকর্মী। মঞ্চ সংলগ্ন এলাকায় থাকছে দশটি স্যান্ড-বাঙ্কার, ছ’টি বুলেট নিরোধক খাঁচা। অনুষ্ঠানস্থল এবং আশপাশের অঞ্চলের নিরাপত্তায় নজর রাখবে ১০টি ওয়াচটাওয়ার। পাশাপাশি, দর্শকদের সহায়তা করার জন্য থাকবে ১১টি পুলিশ-সহায়তা কেন্দ্র। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন স্থলপথের পাশাপাশি নজরদারি চলবে জলপথেও। লালবাজার সূত্রের খবর, জলপুলিশের সাতটি বাহিনীকে গঙ্গায় নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হবে।
লালবাজার জানিয়েছে, রেড রোডের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের নির্ধারিত সময়ের আগেই ডিউটির জায়গায় পৌঁছে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে কোন পুলিশকর্মীর কী দায়িত্ব, তা তাঁদের ঠিক মতো বুঝিয়ে বলার জন্যও আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। এ ছাড়াও শহরের শপিং মল, সিনেমা হল এবং গুরুত্বপূর্ণ সৌধগুলিতে যাতায়াতকারীদের উপরে নজর রাখা এবং তাঁদের তল্লাশি করে তবেই ভিতরে ঢোকার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ জারি করেছেন সিপি।
পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘মেট্রো স্টেশনগুলিতেও যাতে স্থানীয় থানা নজরদারি চালায়, তা নিশ্চিত করার জন্য এ দিনের বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ লালবাজার সূত্রে খবর, আজ, বৃহস্পতিবার মাঝরাত থেকেই রেড রোডে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কাল, শুক্রবার প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালীন রেড রোডে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে।