মাদক-মৃত্যুতে আগুন-মারধর, তপ্ত যাদবপুর

লালবাজার এবং আশপাশের বিভিন্ন থানা থেকে বিরাট বাহিনী গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। আসে দমকলও। রক্তাক্ত পুলিশ অফিসারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৩৪
Share:

আগুন নেভাতে ব্যস্ত পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

মাদক ব্যবসার অভিযোগ ঘিরে রবিবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রাতের যাদবপুর। দোকান ভাঙচুর করে আগুন লাগানো হয়। ফেলে পেটানো হয় এক পুলিশকর্মীকে। রবিবার রাত ১১টা থেকে হাঙ্গামা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় বিরাট পুলিশবাহিনী।

Advertisement

পুলিশ জানায়, এ দিন প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোডের এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। মাদকের নেশা থেকেই ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে রাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ একটি চায়ের দোকান ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেই গোলমাল ছড়িয়ে পড়ে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে। যাদবপুর থানার কয়েক জন পুলিশকর্মী সেখানে গেলে ক্ষিপ্ত জনতা তাঁদের উপরে চড়াও হয়। এক এসআই-কে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়। তিনি পালাতে গেলে হামলাকারীরা ধাওয়া করে। মারধরে রক্তাক্ত ওই পুলিশ অফিসার লুটিয়ে পড়েন রাস্তায়।

লালবাজার এবং আশপাশের বিভিন্ন থানা থেকে বিরাট বাহিনী গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। আসে দমকলও। রক্তাক্ত পুলিশ অফিসারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। গভীর রাতে ঘটনাস্থলে যান উচ্চপদস্থ কর্তারাও।

Advertisement

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই দোকানে দীর্ঘদিন ধরেই মাদকের কারবার চলছে। এলাকার তরুণদের অনেকেই নেশাগ্রস্ত হয়ে প়ড়ছেন। বারবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এ দিন ওই যুবকের মৃত্যুর পরে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তবে পুলিশের দাবি, অভিযোগ প্রতি বারেই খতিয়ে দেখা হয়েছে। কিন্তু মাদক ব্যবসার প্রমাণ মেলেনি। এ দিনের ঘটনার পরে ওই এলাকায় মাদক কারবারের বিরুদ্ধে নজরদারি বাড়ানো হবে।

পুলিশি সূত্রের খবর, এ দিনের গোলমালের পিছনে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতীর ইন্ধন থাকতে পারে। সংখ্যায় কম থাকায় পুলিশ প্রথমে গোলমাল থামানোর কাজে সে-ভাবে ঝাঁপাতে পারেনি। পরে বিরাট বাহিনী এলাকার অলিগলিতে তল্লাশি চালায়। সামনে থেকে যারা গোলমালে ইন্ধন জোগাচ্ছিল, প্রচুর পুলিশ আসতে দেখে তাদের সকলেই চম্পট দেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন