বিবেকানন্দ উড়ালপুল

কমিটিকে আজ নকশা দিতে নির্দেশ

পোস্তার উড়ালপুল ভেঙেছে তিন সপ্তাহ আগে। কিন্তু সরকারের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির হাতে এখনও উড়ালপুলের নকশা তুলে দিতে পারেনি কেএমডিএ বা নির্মাণকারী সংস্থা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০১:৩১
Share:

পোস্তার উড়ালপুল ভেঙেছে তিন সপ্তাহ আগে। কিন্তু সরকারের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির হাতে এখনও উড়ালপুলের নকশা তুলে দিতে পারেনি কেএমডিএ বা নির্মাণকারী সংস্থা। আজ, বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাদের নকশা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নবান্ন সূত্রে খবর, বিবেকানন্দ উড়ালপুলের কয়েকটি স্তম্ভের অনুমোদিত নকশা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে চান খড়্গপুর আইআইটি-র বিশেষজ্ঞেরা। তাই সেতুর নকশাটি দেখা প্রয়োজন। বুধবার কমিটির বৈঠক হয়। হাজির ছিলেন রাজ্য পূর্ত দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, কেএমডিএ-র চিফ ইঞ্জিনিয়ার এবং সিইও, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও খড়্গপুর আইআইটি-র বিশেষজ্ঞেরা, নির্মাণ সংস্থা আইভিআরসিএল-র ইঞ্জিনিয়াররা। সেখানেই আলোচনায় নকশা হাতে না পাওয়ার প্রসঙ্গটি ওঠে। কমিটির এক সদস্য জানান, নকশা হাতে পেলে তা নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হবে। উড়ালপুল ভেঙে পড়ার কারণ খতিয়ে দেখে দু’সপ্তাহের মধ্যে সরকারের কাছে রিপোর্ট দেওয়ার কথা কমিটির।

গত ৩১ মার্চ রবীন্দ্র সরণি ও কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিটের মোড়ে আচমকাই ভেঙে পড়ে বিবেকানন্দ উড়ালপুলের একাংশ। কংক্রিট, লোহার বিম চাপা পড়ে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় ৯০ জন। কী ভাবে, কার গাফিলতিতে উড়ালপুলের একাংশ ভেঙে পড়ল, নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান ঠিক ছিল কি না — তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। উড়ালপুল ভাঙার ঘটনায় কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যে নির্মাণ সংস্থার বেশ কয়েক জন উচ্চপদস্থ কর্তাকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, ওই দিন ৪০ নম্বর পিলার থেকে সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়ে। এর ফলে আশপাশের আরও কয়েকটি পিলারের অবস্থাও খারাপ হতে পারে। নবান্নের এক কর্তা জানান, ৪০ নম্বর ও তার লাগোয়া কয়েকটি স্তম্ভের ভার বহনের ক্ষমতা কতটা থাকা উচিত ছিল, বাস্তবে কতটা ছিল— তার উপরেই নির্ভর করছে ভেঙে পড়ার মূল কারণ। তাই নকশায় কোনও ফাঁক রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চান বিশেষজ্ঞেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন