ভোট গণনা স্থগিত বিধাননগর, বালি, আসানসোলে

লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগের চাপে শেষপর্যন্ত থমকে দাঁড়াল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিধাননগর, আসানসোল এবং বালির পুরভোট গণনা স্থগিত রাখা হল অনির্দিষ্টকালের জন্য। ঘোষণা করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সুশান্ত রঞ্জন উপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৫ ১৮:০৯
Share:

লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগের চাপে শেষপর্যন্ত থমকে দাঁড়াল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিধাননগর, আসানসোল এবং বালির পুরভোট গণনা স্থগিত রাখা হল অনির্দিষ্টকালের জন্য। ঘোষণা করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সুশান্ত রঞ্জন উপাধ্যায়। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের ঘোষণার আগেই অবশ্য রাজ্য বিজেপি’র সভাপতি রাহুল সিংহ রবিবার সে কথা ঘোষণা করে দিয়েচিলেন। এ দিন বিকেলে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার পর বাইরে বেরিয়ে রাহুল সিংহই প্রথম জানান, ভোট গণনা অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করতে চলেছে কমিশন। পরে বামেদের তরফে রবীন দেব এবং কংগ্রেসের দেবব্রত বসুও সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার পর সংবাদমাধ্যমকে একই কথা জানান। সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে নির্বাচন কমিশনার জানিয়ে দেন, ৭ অক্টোবর বিধাননগর, আসানসোল ও বালিতে ভোট গণনা হবে না। নির্বাচনে ব্যাপক হিংসার যে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে।

Advertisement

পুর ভোটে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীর যথেচ্ছ সন্ত্রাস শনিবার দেখেছে বিধাননগর, বালি, আসানসোল। এই নির্বাচনকে বাতিল ঘোষণা করার দাবিতে বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়। কমিশনের দফতরে দফায় দফায় চলে, ধর্না, অবস্থান বিক্ষোভ, ডেপুটেশন। রবিবার বিকেলে ফের নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান বিরোধীরা। সাক্ষাৎ শেষে রাহুল সিংহ বলেন, “আমরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছ থেকে ঐতিহাসিক রায় পেয়েছি। নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিধাননগর, বালি, আসানসোলের ভোটগণনা অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হচ্ছে। ভোট গ্রহণের দিন ব্যাপক কারচুপির অভিযোগের প্রেক্ষিতেই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত।” বামেদের তরফে রবীন দেব জানান, ভোট গণনা স্থগিতের সিদ্ধান্তে তাঁরা খুশি। তবে ভোট বাতিলের দাবি প্রসঙ্গে কমিশনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী হয়, তা দেখার আগে খুব বেশি মন্তব্য করতে রাজি নন বামেরা। রবীন দেবের প্রশ্ন, ভোটের দিন যাদের প্রকাশ্যে হামলা করতে দেখা গিয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন। তিনি জানান, কমিশনকে তাঁরা জিজ্ঞাসা করেছেন, দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দিতে নির্বাচন কমিশনারের কাছে বামেরা দাবি জানিয়েছে।

Advertisement

সল্টলেকে শনিবার শাসকের শাসানি সংবাদমাধ্যমকে। পিছনে বিধায়ক সুজিত বসু। দর্শক পুলিশ।— নিজস্ব চিত্র।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটগ্রহণের দিন হিংসার ঘটনার সব অভিযোগ পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন বুথের প্রিসাইডিং অফিসারদের ডায়েরি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। চাওয়া হয়েছে ডিএম রিপোর্টও। খতিয়ে দেখা হবে বিভিন্ন বুথে লাগানো সিসি টিভি’র ফুটেজও।

ঢিল হাতে তাড়া সাংবাদিকদের। এখানেও পিছনে বিধায়ক সুজিত বসু। এবারও দর্শক পুলিশ।— নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন