‘দিদিকে বলো’য় ফোন, হতে চলেছে সেতু 

এলাকাটির এক দিকে কলকাতা পুরসভার ১১২ নম্বর ওয়ার্ড এবং অন্য দিক ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৫৫
Share:

দড়ি ফেলে টালিনালা মাপার কাজ চলছে। নিজস্ব চিত্র

মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল, টালিনালার উপরে একটি পাকা ঢালাই সেতুর। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করায় শুরু হয়েছে সেতু তৈরির কাজ।

Advertisement

এলাকাটির এক দিকে কলকাতা পুরসভার ১১২ নম্বর ওয়ার্ড এবং অন্য দিক ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। মাঝখানে টালিনালা। আর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের টালিনালা পারাপারের জন্য ভরসা করতে হয় সেতুর উপরেই। কিন্তু সেতুগুলি এমন জায়গায় রয়েছে যে অনেকটা ঘুরে যেতে হয়। এ রকমই একটি জায়গা ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের সুবোধ পার্ক। ওই অঞ্চলে আগের তুলনায় বসবাস বেড়েছে। অথচ তাঁদের টালিনালা পারাপার করতে ভরসা করতে হয় ঊষা ব্রিজ কিংবা বিধানপল্লির ব্রিজের উপরে। সময় যেমন লাগত, তেমনই রিকশায় গেলে টাকাও বেশি লাগত। এই ঢালাই সেতু হলে দুইয়েরই সাশ্রয় হবে।

সে কথা মানছেন ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অনিতা করমজুমদার এবং ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর সুস্মিতা দাম। তাঁরা জানাচ্ছেন, আগে টালিনালা সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণ সেচ দফতরের হাতে ছিল। কিন্তু সেচ দফতরের হাত থেকে সেই দায়িত্ব বর্তমানে গিয়েছে কলকাতা পুরসভার হাতে। এ দিকে, পুরসভার হাতে গেলেও টালিনালার উপরে কোনও সেতু করার দায়িত্ব পুরসভা দিয়েছে কেএমডিএ-কে। ফলে পুরসভা এবং কেএমডিএ—দু’টি দফতর জড়িয়ে ছিল সেতু তৈরির সঙ্গে। তাঁদের দাবি, এই জটিলতার কারণে আটকে ছিল সেতুটি। বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়ায় দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের যে সুবিধা হবে তা মানছেন দুই কাউন্সিলর এবং বাসিন্দারা।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা মেয়রকে একটি চিঠিও দিয়েছিলেন। তাতেও কাজ হয়নি। শেষমেশ স্থানীয়েরা ঠিক করেন তাঁরা ‘দিদিকে বলো’য় বিষয়টি জানাবেন। সেই মতো মাসখানেক আগে ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করেন এলাকার বয়স্কেরা। এর দু’সপ্তাহের মধ্যেই অনুমোদন পায় সেতুর প্রস্তাব।

পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভা এবং কেএমডিএ-র ইঞ্জিনিয়ারেরা শুক্রবার জায়গাটি পরিদর্শন করে গিয়েছেন। দ্রুত সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন