জলের সমস্যা মিটল না এখনও

গার্ডেনরিচ পাম্পিং স্টেশনের ফেজ ওয়ানের একটি পাম্পে বিস্ফোরণ হয় শনিবার রাতে। তার জেরে রবিবার বেহালা, গার্ডেনরিচ, পূজালি-সহ দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় জল সরবরাহের উপরে প্রভাব পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৮ ০২:১৩
Share:

ডুবেছে গার্ডেনরিচ পাম্পিং স্টেশনের ১ নম্বর ফেজ। ফাইল চিত্র।

গার্ডেনরিচ পাম্পিং স্টেশনে পাম্পে বিস্ফোরণের ফলে সোমবারও বেহালা, গার্ডেনরিচ-সহ একাধিক এলাকায় জল সমস্যা অব্যাহত থাকল। যে সব জায়গায় জল গিয়েছে, জলের চাপও খুব কম ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে জল সরবরাহ কবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার কাউন্সিলরদের একাংশের মধ্যে। যদিও কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচ পাম্পিং স্টেশনের ফেজ ওয়ানের একটি পাম্পে বিস্ফোরণ হয় শনিবার রাতে। তার জেরে রবিবার বেহালা, গার্ডেনরিচ, পূজালি-সহ দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় জল সরবরাহের উপরে প্রভাব পড়ে। এ দিনও সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে জলের চাপ খুবই কম ছিল বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। অনেক জায়গায় পর্যাপ্ত জলই পৌঁছয়নি বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ওই এলাকায় জলের গাড়িও পাঠাতে হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। পুরসভার সদর দফতর থেকেও অতিরিক্ত তিনটি জলের গাড়ি বেহালা, গার্ডেনরিচে পাঠানো হয়েছে। জলের গাড়িগুলিতে চার হাজার লিটার জল ধরে। এ দিন জলের গাড়িগুলি ১৫টি করে ‘ট্রিপ’ করেছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। বেহালার এক কাউন্সিলরের কথায়, ‘‘জলের চাপ খুবই কম। ফলে সমস্যা পুরো মেটেনি।’’ আর এক কাউন্সিলরের কথায়, ‘‘এমন তো আগে কখনও হয়নি। তাই পুরোপুরি ঠিক হতে হয়তো কিছুটা সময় লাগবে।’’

যদিও মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এ দিন জানিয়েছেন, সব জায়গাতেই এ দিন জল গিয়েছে। ফেজ ওয়ানও সোমবার রাতে চালুর ব্যাপারে আশাবাদী মেয়র। শোভনবাবুর কথায়, ‘‘এত বড় দুর্ঘটনার কোনও প্রভাব পড়েনি। সকলে মিলে কাজ করার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে।’’ পাম্পে কোথাও বুদ্বুদ থাকার কারণে তা ফেটে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন মেয়র।

Advertisement

তবে পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেরামতি কবে সম্পূর্ণ হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ, যে তিনটি মোটর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলি আপাতত পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সেগুলির পরিবর্তে অন্য স্টেশন থেকে মোটর এনে চালানো হলেও সেগুলি সারাক্ষণ চালানোর ঝুঁকি নেওয়া যাচ্ছে না। এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘তিনটি মোটরের পরিবর্তে অন্য স্টেশন থেকে এনে সমসংখ্যক পাম্প চালানো হচ্ছে। কিন্তু তা তো আর ধারাবাহিক ভাবে চালানো যাবে না। তা হলে সেগুলিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন