West Bengal Lockdown

কড়া পুলিশি নজরে ভিড় কমল বাজারে

স্থানীয় কাউন্সিলর চামেলি নস্করের অভিযোগ ছিল, বারবার আবেদন, প্রচার করেও কাজ হচ্ছিল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২০ ০৩:০৯
Share:

ছবি পিটিআই।

বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় বিভিন্ন বাজারে ভিড় নিয়ন্ত্রণে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তাতে আশানুরূপ সাড়াও মিলেছে। কিন্তু বাগজোলা খাল সংলগ্ন মৃধা মার্কেটে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। ভিড় জমাচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। সোমবার থেকে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিতে শুরু করায় ভিড় অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

Advertisement

বিধাননগর পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে বাগজোলা খাল সংলগ্ন ওই বাজারে স্থানীয়েরা ছাড়াও বাগুইআটি, কেষ্টপুর, হাতিয়াড়া, ঘুনি-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বাসিন্দারা সাইকেল, মোটরবাইক, রিকশায় এসে বাজার করেন। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভিড় লেগেই থাকে। লকডাউনের সময়েও তার বিশেষ ব্যতিক্রম হয়নি। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, মৃধা মার্কেটে জিনিসের মান ভাল, আবার দামও তুলনায় কম। তাই দূর থেকেও অনেক মানুষ ভিড় জমান এখানে।

স্থানীয় কাউন্সিলর চামেলি নস্করের অভিযোগ ছিল, বারবার আবেদন, প্রচার করেও কাজ হচ্ছিল না। দোকানের সামনে দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ানোর জায়গা নির্দিষ্ট করা হলেও কেউ তা মানছিলেন না। বাজারে ক্রেতাদের ভিড়ও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। এমনকি, শাসক দলের কর্মী ও স্থানীয় যুবকেরাও মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশ এলাকায় গেলে ভিড় কিছুটা কমত। কিন্তু পুলিশ চলে গেলে ফের ভিড় জমত। সেই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। স্থানীয় পুর প্রশাসন, বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে পুলিশ সোমবার থেকে কড়া পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: চুল-দাড়ি কামিয়ে ভবঘুরেদের চেহারা ফেরানোর চেষ্টা

এ দিন বাজারের দু’দিকে গার্ডরেল বসানো হয়। ফলে কোনও যানবাহন ঢুকতে পারেনি। পাশাপাশি, বাজারের দু’দিকে পুলিশি প্রহরা ছাড়াও একটি দল ওই এলাকায় টহল দিয়েছে। দূরত্ব বজায় রেখে যাতে সকলে বাজার করেন, সে দিকে বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। চলেছে সচেতনতার প্রচারও। আবার সরকারি নির্দেশিকা মেনে সকলে যাতে মাস্ক ব্যবহার করেন, সে দিকেও খেয়াল রাখা হয়েছে। বাজারের সময়সীমা বেলা বারোটা পর্যন্ত করা হয়েছে স্থানীয় সূত্রের দাবি। স্থানীয়দের একাংশের কথায়, অনেক আগেই এই পদক্ষেপ করার প্রয়োজন ছিল। বিধাননগর পুলিশ সূত্রের খবর, লাগাতার প্রচার ও আবেদন করেও সাড়া মেলেনি। তাই এ বার কড়া হাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement