বি টি রোডের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দূষণের মাত্রা যেখানে পৌঁছেছে, তাতে শুধু পরিবেশকর্মী ও গবেষকেরাই নন, উদ্বেগ শোনা গিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তাদের মুখেও।
পর্ষদ সূত্রের খবর, কেন ওই এলাকায় মাত্রাতিরিক্ত দূষণ, তা খোঁজার জন্য একটি সমীক্ষাও করা হয়েছে। তাতে ধরা পড়েছে, ওই এলাকায় যেখানে মনিটরিং স্টেশনটি রয়েছে, তার কাছেই রয়েছে চিৎপুর রেল ইয়ার্ড। সেখানে সর্বক্ষণই সিমেন্ট ওঠানো-নামানোর কাজ চলে। আর সেই কারণেই এলাকার দূষণ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন পর্ষদের কর্তারা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এ বার রেলওয়ে ইয়ার্ডকে সতর্ক করার জন্য চিঠিও পাঠানো হবে বলে পর্ষদ সূত্রের খবর। পর্ষদের এক কর্তার কথায়, ‘‘এর আগেও আমরা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জায়গা থেকে অভিযোগ পেয়েছি। এ বার আমরা চিঠি পাঠাব বলে ঠিক করেছি।’’ তবে রেলকে চিঠি পাঠিয়ে কতটা কাজ হবে, তা নিয়ে সন্দিহান কর্তারা।
তবে, শুধু সিমেন্ট ওঠানো-নামানো বা গাড়ির দূষণই নয়, শীতের পরিবেশও এই দূষণের জন্য দায়ী বলে জানাচ্ছেন পর্ষদের কর্তারা। কারণ, শীতকালে বাতাসের গতিবেগ শূন্য থাকে। ফলে ভাসমান ধূলিকণা (পিএম ১০) বা অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা (পিএম ২.৫) ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ থাকে না। পর্ষদের এক কর্তার কথায়, ‘‘আমরা এক বারও বলছি না যে, শহরের বাতাসের মান ভাল। কিন্তু দূষণের পিছনে আবহাওয়ারও একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। সেটাকেও মাথায় রাখতে হবে।’’